தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Mar 20, 2020

বিয়ে করবেন! তাই হোম কোয়ারান্টাইন ভেঙে ছাদনাতলায় বর, তটস্থ পড়শিরা

বিয়ে করবেন; তাই হোম কোয়ারান্টাইন উপেক্ষা করেই ছাদনাতলায় হাজির তেলেঙ্গানার এক যুবক। ১০০০ লোকের জমায়েতে আয়োজিত হল বিয়ে!

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

করোনা সংক্রমণ: বর-কনে কিংবা আমন্ত্রিত অভ্যাগত, কাউকে মাস্ক পরে ঘুরতে দেখা যায়নি।

হায়দরাবাদ :

বিয়ে করবেন; তাই হোম কোয়ারান্টাইন (Home Quarantine) উপেক্ষা করেই ছাদনাতলায় হাজির তেলেঙ্গানার এক যুবক। প্রায় ১০০০ লোকের জমায়েতে ধুমধাম করে সম্পন্ন হলে সেই বিয়ে। কিন্তু বিধি বাম! গোটা বিয়েবাড়ি ঘুরে কাউকে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। সেই পরিবারের চূড়ান্ত এই দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের জন্য এখন থরহরিকম্প ওয়ারাঙ্গল। জানা গিয়েছে, মাত্র এক সপ্তাহ হল প্যারিস (Paris) থেকে ওয়ারাঙ্গল ফিরেছেন ওই যুবক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁর বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ১৪ দিন গৃহবন্দি থাকার কথা। কিন্তু ৭ দিনের মাথাতেই চুলোয় তুললেন স্বাস্থ্যবিধি। স্থানীয় মারফত সেই খবর প্রশাসনের কাছে পৌঁছলে বিয়ের পরে সেই বরকে ফের গৃহবন্দি করা হয়েছে। শুক্রবার রিসেপশনের আয়োজন থাকলেও, পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই অনুষ্ঠান। 

আস্থা ভোটের আগেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কমল নাথ

জানা গিয়েছে, ১২ মার্চ এক বন্ধুকে সঙ্গী করে ফ্রান্স থেকে হায়দরাবাদ ফিরেছেন ওই যুবক। বিমানবন্দর থেকেই তাঁকে হোম কোয়ারান্টাইনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মোতাবেক গ্রামের বাড়ি ওয়ারাঙ্গাল ফিরেই গৃহবন্দি হয়েছিলেন সেই যুবক। কিন্তু প্রভাবশালী সেই পরিবার গোটা একটা জেলাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেই ধুমধাম করে সেরে ফেলে ছেলের বিয়ে। এমনটাই অভিযোগ পড়শিদের। স্থানীয় এক সমাজকর্মী অভিযোগ করেছেন, ওই যুবকের কাকা জেলা আদালতের আইনজীবী। ফলে সামাজিক ও প্রশাসনিক স্তরের অনেক প্রভাবশালীর সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা। তাঁরা সকলেই বিয়েতে আমন্ত্রিত ছিলেন। স্থানীয়রা বারণ করলেও উপেক্ষা করা হয় সেই ডাক। 

মানুষকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপদেশ মেনে চলার অনুরোধ বিরাট কোহলির

এই ঘটনা চাউর হতেই তৎপর হয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। বিয়ে বাড়ি থেকে বড় অনুষ্ঠানের জমায়েতস্থল বুকিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। এ বিষয়য়ে সাংবাদিকরা জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে আয়োজিত এই বিয়ে অনেক মানুষের বিপদের কারণ। 

Advertisement

এদিকে তেলেঙ্গানা সরকারের কোয়ারান্টাইন পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। সাই চৈতন্য নামে রঙ্গারেড্ডি জেলার এক তরুণ মৌলিক পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না বলে সুর চড়িয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, "আমাদের পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কেন? আমরা কি অপরাধী? এক বাসে সবাইকে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে কেন, যখন সরকার ন্যূনতম চাহিদা পূরণে ব্যর্থ।" অপরদিকে, জানা গিয়েছে সরকারি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে শিশু ও প্রবীণদের বেশি রাখা হয়েছে। তাঁদের পরিবার "গৃহবন্দি" বিষয়ে মুচলেকা দেওয়ার পর যেতে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি। 

Advertisement