দেশে কেন করোনা (Coronavirus) আক্রান্তদের পরীক্ষার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হচ্ছে না এই প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ৩ মে পর্যন্ত বাড়ছে লকডাউনের (Lockdown)মেয়াদ। এই পরিস্থিতিতে রাহুলের দাবি, যে পরিমাণ পরীক্ষা (Coronavirus Testing) হচ্ছে দেশে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে তারা লাওস, নিগার ও হন্ডুরাসের মতো দেশের সঙ্গে একসারিতে রয়েছে। এদিন টুইট করে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি লেখেন, ‘‘ভারত টেস্টিং কিট কিনতে দেরি করেছে। এবং এখন উল্লেখযোগ্য ভাবে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। প্রতি দশ লক্ষ ভারতীয়র মধ্যে ১৪৯ জনের শরীরে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তারা এ ব্যাপারে লাওস (১৫৭), নিগার (১৮২) ও হন্ডুরাস (১৬২)-র সঙ্গে একসারিতে। এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে গণ হারে পরীক্ষা করানোই প্রধান উপায়। বর্তমানে আমরা খেলার কোথাও নেই।''
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১০,৩৬৩-তে পৌঁছেছে। মারা গিয়েছেন ৩৩৯ জন। যদিও এই সংখ্যা পশ্চিমের দেশগুলির বিরুল সংখ্যার তুলনায় খুবই কম, তবু বিশেষজ্ঞদের ভয় রয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা এই সংখ্যা কম থাকার কারণ ভারতে পরীক্ষার হার খুবই কম। প্রকৃত সংক্রমণের পরিমাণ হয়তো এর চেয়ে অনেক বেশি। আইসিএমআর-এর তথ্য অনুসারে, সোমবার রাত ন'টা পর্যন্ত মাত্র ২ লক্ষ মানুষের শরীরেই করোনার পরীক্ষা করা হয়েছে।
রাহুল গান্ধির দাবি করা সংখ্যার হিসেবে ভারত ইতালি ও আমেরিকার বহু পিছনে রয়েছে। ইতালিতে প্রতি দশ লক্ষে ১৫,৯৩৫ জন ও আমেরিকায় ৮,১৩৮ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, যে দেশে বস্তি এলাকার মতো জনঘনত্বের এলাকার সংখ্যা বেশি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপরে ক্রমেই চাপ বাড়ছে, সেখানে করোনার মতো অসুখ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এখনও পর্যন্ত দেশের সাতশো জেলার মধ্যে মাত্র আশিটি জেলার সংক্রমণের ঘটনার দিকেই নজর দেওয়া গিয়েছে।
রাহুল গান্ধি ও অন্যান্য বিরোধী নেতারা সরকারের উপরে চাপ বাড়িয়ে চলেছেন। পিপিই-র ঘাটতি, হঠাৎ দেশব্যাপী লকডাউনের ঘোষণা কিংবা পর্যাপ্ত পরিমাণে পরীক্ষা না হওয়ার মতো নানা বিষয়ে তাঁরা সরকারের সমালোচনা করেছেন।
সরকার অবশ্য বিরোধীদের সমালোচনাকে উড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছে ভারতই সেই সব দেশের অন্যতম, যারা প্রথম দিকেই বিমান বন্দরে স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করা শুরু করে এবং করোনা-আক্রান্ত দেশ থেকে ভারতে আসা ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইনে পাঠানোর বন্দোবস্ত করে।