This Article is From Feb 01, 2020

Air India: "ঝুঁকি নিয়েও সাহায্য করায় ধন্যবাদ": পাইলটকে কৃতজ্ঞতা জানালেন চিন ফেরৎদের পরিবার

Coronavirus: কেরলে ১,৪০০ জনকে চিকিৎসা পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে; ৫০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের বিশেষ বিভাগে, বাড়িতে আটক আরও ১,৪২১ জন

China: উহান আটক শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য এয়ার ইন্ডিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা

হাইলাইটস

  • এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ৭৪৭ বিমানে করে দেশে ফেরানো হল ৩২৪ জন ভারতীয়কে
  • দেশে ফেরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়াকে
  • আগামী দু'সপ্তাহ চিন ফেরৎদের বিশেষ চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে
তিরুঅনন্তপুরম:

চিনে মারণ করোনা ভাইরাস (Coronavirus) ছড়িয়ে পড়া পরিবেশের মধ্যে দিয়েই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে আটকে পড়া ভারতীয় শিক্ষার্থীদের একটি বিশেষ বিমানে দেশে ফিরিয়ে এনেছে এয়ার ইন্ডিয়া। দেশীয় বিমান সংস্থাটির (Air India) বোয়িং ৭৪৭ বিমানেই চিনের উহান (Wuhan) থেকে ফিরেছেন আতঙ্কগ্রস্ত ওই পড়ুয়ারা, আর তাতে যেন অনেকটাই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন তাঁদের অভিভাবকরাও। দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল ও এয়ার ইন্ডিয়ার প্যারামেডিকের পাঁচজন চিকিৎসককে সঙ্গে নিয়ে ওই বিমানটি চিনে পৌঁছয়। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর আটক ভারতীয়দের বিমানে করে ফিরিয়ে এনে স্বজনদের হাতে তুলে দিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট, আর সেই জন্যেই কৃতজ্ঞতায় মন ভরে গেছেন ওই পড়ুুয়াদের বাবা-মায়ের। যেখানে বিশ্বের প্রায় সব দেশই চিনের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ স্থগিত রেখেছে সেই পরিস্থিতিতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও যেভাবে সে দেশে (China) বিমান নিয়ে গেছেন পাইলট, তার জন্যে তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।

কেরলের তিরুবনন্তপুরমের ফার্মাসিস্ট বিজয় কুমার এনডিটিভিকে বলেন, "উহানে গিয়ে আমাদের বাচ্চাদের ফিরিয়ে আনার জন্যে যে ঝুঁকি নেওয়া হয়েছে তার জন্য হাজার হাজার মানুষ এয়ার ইন্ডিয়া টিমকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। আমরা কৃতজ্ঞ।"

Coronavirus: এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে দেশে ফিরলেন চিনে আটক ভারতীয়রা

জানা গেছে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রায় নিদ্রাহীন রাত কাটাচ্ছিলেন মেয়ের চিন্তায়। অনিতা জেসমিন বলেন, "মানসিক চাপ ও উদ্বেগের কারণে আমাদের কাজ থেকে ছুটি নিতে হয়েছিল। এখন বাঁফ ছেড়ে বেঁচেছি । আমি আমার মেয়েকে উহান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসায় যে কতটা খুশি তা ব্যাখ্যা করতে পারছি না।" চিনের উহান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা ৩০০ জন ভারতীয়ের মধ্যে রয়েছেন তাঁদেরও মেয়ে, যিনি সেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনো করতে গেছিলেন। 

তবে ওই ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনা হলেও বর্তমানে আগামী দু'সপ্তাহের জন্যে দিল্লির কাছে মানেসারে বিশেষ চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে এবং তাঁদের দেহে মারাত্মক করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কোনও লক্ষণ না দেখা গেলে তাঁদের পাকাপাকিভাবে নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে দেওয়া হবে। 

বিজয় কুমার এনডিটিভিকে বলেন, "মানেসারে দু'সপ্তাহ ধরে ওঁদের আলাদা করে রাখার বিষয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই, কারণ এটা সত্যিই প্রয়োজন। ওঁরা যে দেশে ফিরে এসেছে এটাই যথেষ্ট। ওঁরা এখন সরকারের হেফাজতে থাকবে অতএব ওঁরা নিরাপদেই থাকবে"।

উহান থেকে দেশে ফিরে আসা বেশিরভাগ শিক্ষার্থী সেখানে নিজেদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। চিন ফেরৎদের মধ্যে বেশিরভাগই কেরলের বাসিন্দা। কেরলে বর্তমানে ১,৪০০ জনকে চিকিৎসা পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে; ৫০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের বিশেষ বিভাগে, বাড়িতে আটক করে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে আরও ১,৪২১ জনকে।

Coronavirus: ভারতেও মিলল সন্ধান, পর্যবেক্ষণে রাখা হল আক্রান্ত কেরলের পড়ুয়াকে

এদিকে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "দেহে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ মেলা এক যুবতীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন।"

মন্ত্রী বলেন, "করোনা ভাইরাস সম্পর্কে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ৩ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করবে"।

.