সংক্রমণ রুখতে মরিয়া ভারতীয় রেলের নয়া পদক্ষেপ। (প্রতীকী)
হাইলাইটস
- এবার থেকে ট্রেনের এসি কোচে কম্বল আনতে হবে যাত্রীদের
- সরানো হচ্ছে জানলার পর্দাও
- করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে
মুম্বই: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ রুখতে মরিয়া ভারতীয় রেল (Indian Railway)। ট্রেনের এসি কামরায় (AC Coaches) ভ্রমণকারী যাত্রীদের উদ্দেশে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার থেকে রেলের তরফে তাঁদের কোনও কম্বল দেওয়া হবে না। প্রত্যেককে নিজের জন্য কম্বল বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে হবে। পশ্চিম রেলওয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ট্রেনের কোচগুলি থেকে পর্দা ও কম্বল সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতেই এই পদক্ষেপ বলে জানান তিনি। যেহেতু ট্রেনে যে কম্বল দেওয়া হয়, তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই না ধুয়েই পরপর ব্যবহৃত হয়, তাই যাত্রীদের বাড়ি থেকেই কম্বল নিয়ে যেতে হবে।
এদিকে দিল্লিতেও করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় প্রস্তুত রেলওয়ে। ডিজিটাল স্ক্রিনে পোস্টার ও বার্তার মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে যাত্রীদের। নজর দেওয়া হচ্ছে পরিচ্ছন্নতার দিকেও। বিভিন্ন স্থানে স্যানিটাইজারের ব্যবস্তা করা হয়েছে। রেলকর্মীদের মাস্ক সরবরাহ করা হচ্ছে।
করোনা সতর্কতা: ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ খড়গপুর আইআইটি ও শিবপুর আইআই(ই)এসটি
সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ডও প্রস্তুত করা হয়েছে।
উত্তর রেলওয়ের সিপিআরও দীপক জানাচ্ছেন, যাত্রীদের সচেতন করতে মাইকের সাহায্যে কিছুক্ষণ পরপরই এবিষয়ে সকলকে জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি পোস্টারও লাগানো হয়েছে এবং ডিজিটাল স্ক্রিনে জানানো হচ্ছে, করোনার বিষয়ে কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়।
তিনি জানান, কোনও রোগীর শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়লে তাঁকে তৎক্ষণাৎ স্টেশনের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। তাছাড়া পরিচ্ছন্নতার দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। রেলিং বা সারফেস এরিয়া বারবার স্পর্শ করেন যাত্রীরা। তাই সেগুলি পরিষ্কার রাখার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
"নিরাপত্তাই প্রাধান্য", আইপিএল সূচি প্রসঙ্গে টুইট করলেন শাহরুখ খান
সিপিআরও জানান, করোনা-আতঙ্কে কত টিকিট বাতিল হয়েছে এই ক'দিনে তা বলা মুশকিল। তিনি জানান, কোনও যাত্রী টিকিট বাতিল করলে তাঁকে ফর্মে বাতিল করার কারণ উল্লেখ করতে হয় না। সেই কারণেই করোনা ভাইরাসের কারণে কত টিকিট বাতিল করা হচ্ছে তা বলা সম্ভব নয়।
দেশে এই মুহূর্তে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭। কর্নাটকের পরে দিল্লিতেও এক প্রবীণা মহিলার মৃত্যুর পরে ভাইরাসের প্রকোপে মৃতের সংখ্যা দুই।
দিল্লিসহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সব স্কুল-কলেজ ও সিনেমাগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। বাতিল করা হয়েছে সার্বজনীন অনুষ্ঠানগুলি।