মুম্বইতে সংক্রমিত প্রায় ১৭ হাজার।
মুম্বই: আর কোনওদিন মুম্বই (Mumbai) ফিরব না। স্পেশাল ট্রেনে সওয়ার হয়ে শহর ছাড়ার আগে এমন অভিমান শোনা গেল পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Labours) গলায়। তাঁদের অভিযোগ, "লকডাউনের আবহে আমরা সরকার থেকে কোনও সাহায্য পায়নি। অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল।গ্রামে অল্প আয়ে থাকব কিন্তু কোনওদিন মুম্বই ফিরব না।" শুক্রবার ছত্রপতি শিবাজি রেল স্টেশনে (CST Station) হাজারে হাজারে পরিযায়ী শ্রমিকের জমায়েত হয়েছিল। কুরলা আর ধারাবি থেকে তাঁদের বাসে করে স্টেশনে আনা হয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে বাড়ি ফেরার ট্রেনে উঠতে পারছেন তাঁরা। এই কথা ভেবেই ওরা তৃপ্ত। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। জানা গিয়েছে, এদিন সিএসটি স্টেসন থেকে উত্তরপ্রদেশ, বিহার-সহ অন্য রাজ্যের বিশেষ ট্রেন ছেড়েছে।
কৃষকদের আয় বাড়াতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আইনে সংস্কার! ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
সেই ট্রেনগুলোতে সওয়ার হতে স্টেশনে জমায়েত করেছিল তাঁরা। জানা গিয়েছে, বাড়ি ফিরতে প্রায় ৫ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক মহারাষ্ট্র সরকারের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। এঁদের মধ্যে কেউ ইটভাটা, কেউ নির্মাণ শিল্প, কেউ আবার স্থানীয় কারখানার শ্রমিক। করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়ে ওরা সর্বস্বান্ত। এদিকে, বন্ধ রেল পরিষেবা, অন্যদিকে নেই মাথার ওপর ছাদ। সবমিলিয়ে দুর্বিষহ এই পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে শুক্রবার স্পেশাল ট্রেনে সওয়ার হলেন মুম্বইয়ের পরিযায়ী শ্রমিকরা। এদিন সংবাদমাধ্যমকে এক পরিযায়ী পরিবার বলেছে, আমরা ৫ মে নাম নথিভুক্ত করিয়েছি। আর আজ পাটনা ফিরছি।"
কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে এক লক্ষ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
এদিকে, ১৭ মে'র পর লকডাউনের ভবিষ্যৎ কী, কীভাবে ধাপে ধাপে তোলা যাবে নিষেধাজ্ঞা? এই প্রশ্নের জবাব চেয়ে রাজ্যের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্র। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্যগুলোর তরফে একাধিক সুপারিশ পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। সেই তালিকায় রয়েছে বিমান ও মেট্রো পরিষেবা। নন-কন্টেইনমেন্ট জোনে বাণিজ্যিক লেনদেন প্রমুখ। গত মঙ্গলবার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাড়তে পারে লকডাউন মেয়াদ। কিন্তু সবকিছু স্তব্ধ রেখে নয়। তাই কোন কোন ক্ষেত্র ছাড় পেতে পারে; পর্যালোচনা করে রাজ্যগুলোকে রিপোর্ট পাঠাতে বলেছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। সেই মোতাবেক জমা পড়েছে রাজ্যের প্রস্তাব। এদিকে, প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণ। দেশে এখন মোট সংক্রমিত ৮১ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত প্রায় ৪ হাজার। মৃত বেড়ে ২৬৪৯।
(সংবাদ সংস্থা থেকে সংগৃহীত)