ক্রমশ বাড়ছে করোনা ভাইৱাসের আতঙ্ক।
হাইলাইটস
- চিন থেকে দেশে ফেরা দুই ভারতীয়কে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে
- তাঁদের পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে
- চিনে ক্রমেই বাড়ছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ
Mumbai: চিনের (China) নতুন ভাইরাসে (Coronavirus) এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ছাপিয়েছে ৮০০। এই পরিস্থিতিতে চিন থেকে ভারতে ফেরা দু'জন ব্যক্তিকে মুম্বইয়ের (Mumbai) সরকারি এক হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। চিনের উহান শহরেই মূলত ছড়িয়েছে এই অসুখ। চিন থেকে দেশে ফেরা ওই দু'জনকে কস্তুরবা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে একটি বিশেষ ওয়ার্ডে ওই দু'জনকে ভর্তি করে নজরাধীন রাখা হয়েছে। ওই দু'জনেরই সর্দি-কাশি হয়েছে। যা ওই ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যেও দেখা যায়। সেই কারণে দু'জনকে বিচ্ছিন্ন করে রেখে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ড. কেসকর জানিয়েছেন, ডায়াগনসিস ও চিকিৎসা শুরু হয়েছে ওই ব্যক্তির। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁদের দেহে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ রয়েছে কিনা। তিনি আরও বলেন, শহরের সমস্ত চিকিৎসকদের জানানো হয়েছে চিন থেকে ফেরা কোনও ব্যক্তির শরীরে যদি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে তৎক্ষণাৎ সে ব্যাপারে সকলকে অবগত করতে।
কস্তুরবা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাকা চিকিৎসকদের বলা হয়েছে, চিন থেকে ফেরা কোনও ব্যক্তির মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে তাঁকে ‘আইসোলেশন (বিচ্ছিন্নতা) ওয়ার্ডে' পাঠাতে।
ভারত এই অসুখের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ও সতর্ক। যদিও এখনও পর্যন্ত ভারতে এই অসুখে কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, আগামী বুধবার পর্যন্ত কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি, চেন্নাই সহ সাতটি বিমানবন্দরে ৪৩টি উড়ান ও ১২,০০০ জন যাত্রীকে পরীক্ষা করে দেখা হবে।
উহান থেকে আসা যাত্রীদের ‘স্ক্রিনিং' বা পরীক্ষা করা হচ্ছে আমেরিকা, ব্রিটেন, জাপান, তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া প্রভৃতি দেশে। রাশিয়াও পরিচ্ছন্নতা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নজর দিয়েছে।
উহান সহ চিনের তেরোটি শহরকে ‘সিল' করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ওই শহরের সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই নতুন ভাইরাসের দাপটের কারণে চিনে চান্দ্র নববর্ষ পালন উৎসবের উদযাপনও বাতিল করা হয়েছে।
তবে এখনই বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করার বিরুদ্ধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু'।
করোনা ভাইরাসটির নাম 2019-nCoV। সার্স ভাইরাসের মতোই ক্ষমতা এই ভাইরাসের। প্রসঙ্গত, ২০০২-০৩ সালে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিনে ৩৪৯ জন ও হংকংয়ের ২৯৯ জন মারা যান। আক্রান্তদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলা ফুলে যাওয়া কিংবা সর্দির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে সার্স আক্রান্তদের মতোই।
দেখুন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বিশেষজ্ঞের মতামত: