हिंदी में पढ़ें
This Article is From Apr 10, 2020

করোনা মহামারীর মধ্যেই হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা, সতর্ক করল রাষ্ট্রসংঘ

রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন যে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুঝতে ব্যস্ত বিশ্ব, এই ফাঁকেই বড়সড় হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা

Advertisement
ওয়ার্ল্ড Edited by

গুতেরেস আরও বলেন যে, আর যদি এই আশঙ্কা সত্যি হয় তবে আরও বহু অসহায় মানুষের প্রাণ যেতে পারে (ফাইল চিত্র)

নিউইয়র্ক:

 বিশ্ব জুড়ে এবার হতে পারে বড়সড় সন্ত্রাস-হামলা, এমন আশঙ্কার কথাই শোনালেন রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এই মুহূর্তে প্রায় সব দেশই করোনা ভাইরাসকে (Coronavirus) বাগে আনার জন্যে অসম লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই সুযোগেই ফাঁক বুঝে বড় হামলা করতে পারে জঙ্গিরা। এ বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সব দেশকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব (Antonio Guterres) । বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখার সময় গুতেরেস বলেন, "করোনা ভাইরাস মহামারী রূপে দেখা দেওয়ায় এখন তা নিয়েই ব্যস্ত প্রায় সব দেশ। কিন্তু এই সময়েই নিরাপত্তাজনিত ফাঁকফোঁকর খুঁজে সন্ত্রাসবাদীরা এই সুযোগকেই কাজে লাগাতে পারে এবং হামলা চালাতে পারে। ফলে বিপদ বাড়ছে। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলো এই সুযোগকে কাজে লাগাতে উঠেপড়ে লাগতে পারে, কারণ তারা জানে যে এই মুহুর্তে বিশ্বের সমস্ত দেশের মনোযোগ এই মহামারীটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দিকেই”।

লাগাতার করোনা সংক্রমণের পরীক্ষা, দিন-রাত এক করে খাটছেন আইসিএমআরের কর্মীরা

গুতেরেস আরও বলেন যে, আর যদি এই আশঙ্কা সত্যি হয় তবে আরও বহু অসহায় মানুষের প্রাণ যেতে পারে। এই মহামারীর বিরুদ্ধে চলতি লড়াইয়ে আমাদের সব প্রচেষ্টার মুহূর্তেই আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। তিনি বলেন, “এই মহামারীর সঙ্গে গোটা দুনিয়া যুদ্ধ করছে। এই সময় আমরা আরও দেখছি যে স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবায় বিভিন্ন জায়গায় বৈষম্য দেখা দিচ্ছে,  অনেক জায়গায় সংবাদমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা দেখা দিয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে শরণার্থী ও সব ধরণের সুবিধা থেকে বঞ্চিতদের সামনেও মানবাধিকার সংকট দেখা দিতে পারে”।
আন্তোনিও গুতেরেস করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই লড়াইকে পুরো প্রজন্মের যুদ্ধ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “করোনা ভাইরাস নামের এই মহামারীর পরিণতি দীর্ঘমেয়াদী হবে। এই মহামারী আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষার ক্ষেত্রেও এক বিরাট ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে”। এই মহামারীর কারণে সামাজিক উত্তেজনা ও সহিংসতা বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা ক্রমশই কমছে। এই রোগটি বিশ্বের স্বাস্থ্য সংকট হিসাবে ধরা দিয়েছে। এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সুদূরপ্রসারী হবে বলেও আভাষ দেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব।

ইজরায়েলকেও হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন দিল ভারত, ধন্যবাদ জানালেন নেতানিয়াহু

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুনিয়া জুড়ে মোট ৯০,৯৩৮ জনের মৃত্যু, এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মানুষ মারা গেছে ইতালি, স্পেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই । ইতালিতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে,সেখানে মোট ১৮,২৭৯ জন মারা গেছে। এরপরে রয়েছে স্পেন, সেখানে মারা গেছে ১৫,২৩৮ জন। আমেরিকাতে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ ঘটেছে, ট্রাম্পের দেশে এখনও পর্যন্ত এই প্রাণঘাতী রোগে মৃত্যু হয়েছে এই রোগে ১৪,৮৩০ জনের। রেহাই পায়নি ফ্রান্সও, সেখানে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত ১০,৮৬৯ জন। বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ওই মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫,৩৪,৪২৬ জন মানুষ।

এদিকে গোটা বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতেও করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে লকডাউন চললেও আটকানো যাচ্ছে না সংক্রমণ। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৯৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ জনের প্রাণ কেড়েছে ওই মারাত্মক ভাইরাসটি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে এখন মোট সংক্রমিত ৬,৪১২ জন।

Advertisement