কলকাতা: নিজামুদ্দিনে যাওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাঁদের কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে বুধবার নবান্নে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, “যদি কেউ গিয়ে থাকেন, বা তাঁদের সঙ্গে মিশে থাকেন, তাহলে তা সরকারকে জানান, যাতে আমরা আপনাদের কোয়ারান্টাইন করে আইসোলেশন করে রেখে দিতে পারি”। পাশাপাশাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, “মঙ্গলবার আমরা জানতে পেরেছি, এবং ৫৪ জনকে কোয়ারান্টাইনে পাঠিয়েছি”। তিনি জানান, এ রাজ্য থেকে ৭১ জন যোগ দিয়েছিল বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে, তারমধ্যে ৪০ জন বিদেশি”। এ রাজ্য থেকে দিল্লিতে জমায়েতে যোগ দেওয়া ৭১ জনের মধ্যে ৪০ জন বিদেশি এবং সব মিলিয়ে মোট ৫৪ জনকে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনা ভাইরাস (Coronavirus) আক্রান্ত হয়ে এ রাজ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে রাজ্যে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বিভিন্ন দেখানো হচ্ছে রাজ্যের থেকে কোনও তথ্য না নিয়েই। এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে পজিটিভ হয়েছিল ৩৭, তাঁদের মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। তিনজন মারা গিয়েছেন, তারমধ্যে একজন নিউমনিয়া, মারা গিয়েছে”। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান জানিয়ে দেন, “আজ বিকেল ৪টে পর্যন্ত রাজ্যে পজিটিভ কেসের সংখ্যা ৩১...যে তিনজন মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজনের পরিবার নিউমনিয়ার কারণে ভর্তি করেছিলেন”।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর জানান, চারটি পরিবারের মোট ১৭ জন করোনা সংক্রমিত। তাঁর কথায়, “এরাজ্যের যে ৩১ জন করোনা আক্রান্ত, তারমধ্যে ১৭ জন চারটি পরিবারের সদস্য”। একইসঙ্গে করোনা ভাইরাসের ছডিয়ে পড়া রুখতে লকডাউনকে পুরোপুরি সফল করে তোলারও আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা দেশব্যপি লকডাউনকে পুরোপুরিভাবে সাফল্যমণ্ডিত করে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
লকডাউন জারি হওয়ার পরেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনের নিয়মকে বুডো় আঙুল দেখিয়ে জটলা হতে দেখা গিয়েছে, ফলে রাস্তায় নেমেছে পুলিশ। এদিন নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ এই কটাদিন দয়া করে নিজেদের হোম কোয়ারান্টাইন করে রাখুন”।
অত্যাশকীয় পণ্য কিনতে গিয়ে বাজারে ভিড় না করে, সাতজন করে দূরে দূরে থেকে পণ্য কেনার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। অত্যাবশকীয় পণ্যের ক্ষেত্রে বাজারে কোনও ঘাটতি নেই বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “যাঁরা ২ টাকা কেজি চাল পেতেন, তাঁদের আগামী ৬ মাস বিনা পয়সায় দেব”।