Coronavirus: ৫০০ কিমি পথ চলার পরে তাঁদের আটক করা হয়। (প্রতীকী)
কল্যাণী: ওডিশা (Odisha) থেকে রাজ্যে ফিরেছিলেন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) ও বীরভূমের (Birbhum) এগারো জন পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু বাড়ি ফেরার আগেই ২০০ কিলোমিটার দূরে নদিয়ায় পুলিশ আটকাল তাঁদের। এখন তাঁরা কোয়ারান্টাইন (Quarantine) রয়েছেন হরিণঘাটার (Haringhata) এক বাড়িতে। যদিও ওই শ্রমিকরা জানিয়েছেন, ৫০০ কিলোমিটার দূর থেকে হেঁটে আসার সময় তাঁরা মুখে মাস্ক পরতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ভোলেননি। জেলা কর্তৃপক্ষ অবশ্য বুধবার তাঁদের আটকানোর পরে জানিয়ে দেন বাড়ি ফেরার সময় তাঁদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। রানাঘাটের পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট ভিএসআর অনন্তনাগ একথা জানিয়েছেন।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের বাড়িতে ফেরানো হয়নি। যোগাযোগ করা হলে নদিয়ার জেলাশাসক ভিভু গোয়েল বলেন, ‘‘আমরা লকডাউন গাইডলাইনের বাইরে যেতে পারি না। ওই ব্যক্তিরা থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু ওঁদের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত কোয়ারান্টাইনে থাকতেই হবে।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘ওঁরা ভিনরাজ্য থেকে এসেছিলেন। তাই আমরা ওঁদের হরিণঘাটার নতুন ও স্যানিটাইজ করা এক বাড়িতে রেখেছি।''
ওই এগারো জন শ্রমিক পুরীর বাদলপুরে নির্মাণকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। বুধবার তাঁদের আটক করে হরিণঘাটার বড় জাগুলি অঞ্চলে মোতায়েন পুলিশ।
সঙ্গে টাকাপয়সা না থাকায় তাঁরা ১১ এপ্রিল থেকে পায়ে হেঁটেই ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ৫০০ কিমি পথ পেরিয়ে আসার পরে তাঁদের পথ আটকানো হয়। স্থানীয় জনতা ও পুলিশ তাঁদের খাবার দেয়। চিকিৎসকরা তাঁদের পরীক্ষা করে দেখেন।
ওই শ্রমিকদের অন্যতম মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের বাসিন্দা রাজু মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা সেখানে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করতাম। কোনও কন্ট্রাক্টরই আমাদের দায়িত্ব নিতে চায়নি। আমরা কিছুদিন অপেক্ষা করার পর বুঝতে পারি লকডাউন এখনও চলবে। এরপরই পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিই আমরা। আমাদের সঙ্গে কোনও টাকাপয়সাও ছিল না।''
৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে প্রায় ১০ দিন হেঁটে তাঁরা খড়গপুরে পৌঁছন। তারপর সেখান ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ডানকুনি হয়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে বাঁশবেড়িয়ার পৌঁছে যান ওই এগারো জন পরিযায়ী শ্রমিক।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)