Coronavirus: সরকারের তরফে বলা হয়েছে, পরীক্ষার কিটের জন্য অগ্রিম অর্থ দেয়নি তারা
নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস (COVID-19 Test Kits) পরীক্ষায় চিনের সংস্থার থেকে যে পরীক্ষার কিট কেনার বরাত দেওয়া হয়েছে, তা বাতিল করা হয়েছে, এবং এখনও পর্যন্ত টাকা দেওয়া হয়নি, ফলে এক টাকাও অপচয় হবে না, চিনা পরীক্ষার কিট নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের মধ্যেই সোমবার জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা ভাইরাস (Coronavirus )পরীক্ষায় গুয়াংঝাউ ওন্ডফো বায়োটেক এবং ঝুয়াই লিভজোন ডায়াগোনস্টিকের তৈরি কিটকে “কাজের অযোগ্য” বলে ঘোষণা করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ, এমনটাই জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। এই দুই চিনা সংস্থার তৈরি কিট ব্যবহার না করার জন্য রাজ্য ও হাসপাতালগুলিকে জানিয়েছে তারা, এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে (১০০ শতাংশ অগ্রিম টাকা দিয়ে তৈরি), এক টাকাও অপচয় করতে নারাজ ভারত সরকার”।
২৪৫ টাকায় কেনা আরএনএ কিট ৬০০ টাকায় বিক্রি! "প্রতি ভারতীয়র অপমান", টুইট রাহুল গান্ধির
এর আগে চলতি মাসে, ৫ লক্ষ রাপিড কিট এবং অ্যান্টি বডি আরএনএ এক্স্ট্রাকশন কিট তৈরি করে সরকার, এবং সেগুলি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তা বিলি করা হয়, সেই সময়আইসিএমআর সুপারিশ করে, হটস্পট এলাকাগুলিতে প্রত্যেক নাগরিকের পরীক্ষা করতে হবে।
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যেহেতু নিয়মিত আরটি পিসিআর কিটে পরীক্ষা ধীর গতির হওয়ায় ফাস্ট ট্র্যাক কিট ব্যবহার করা হবে, এবং তা পরীক্ষাগারগুলিতে করা হবে। তবে অনেক রাজ্যেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই।
রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গের মতো অনেক রাজ্য নয়া কিট নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে, তাদের দাবি, কিটগুলির নির্ভুলতার হার মাত্র ৫.৪ শতাংশ। সেই সঙ্গে সরকারের কিট কেনারও সমালোচনা করে বিরোধী দলগুলি।
কোভিড-১৯ হটস্পটগুলিতে উঠবে না লকডাউন, মুখ্যমন্ত্রীদের জানালেন প্রধানমন্ত্রী: সূত্র
আইসিএমআর সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, তারা রাপিড টেস্ট কিট ব্যবহারে রাজি হয়েছে, ব্যপকভাবে চিন্তাভাবনা করে দেখা গিয়েছে, সেগুলি আরও অবিশ্বস্ত, যদি সস্তা, এবং দ্রুত ফলদায়ী।
সোমবার চিনা রাপিড কিট নিয়ে একটি বিতর্ক তৈরি হয়। ডিস্ট্রিবিউটর এবং আমদানিকারকের মধ্যে আইনি জটিলতা দেখা দেয় দিল্লি হাইকোর্টে, বলা হয়, ভারত দ্বিগুণ টাকা দিয়েছে।
আমদানি সংস্থা ম্যাট্রিক্সের মাধ্যমে চিনা রাপিড কিট আনা হয় প্রতিটি ২৪৫ টাকা দরে। যদিও, ডিস্ট্রিবিউটর রিয়েল মেটাবলিস এবং আর্ক ফার্মাসিউটিক্যাল সরকারকে সেগুলি প্রতিটি ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করে।