লকডাউনের কারণে, রোজগার হারানোর পাশাপাশি খাবারের সঙ্কটে পড়েছেন বহু মানুষ
নয়াদিল্লি: কোবিড ১৯ এর (COVID-19) মোকাবিলায় ভারতের পদক্ষেপ “স্বতঃপ্রণোদিত, সক্রিয়”, শনিবার এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার, ২১ দিনের লকডাউন (Lockdown) কোনও পরিকল্পনা করা ছাড়াই ঘোষণা করার ফলে বহু মানুষ, বিশেষ করে ভিন রাজ্যে দৈনিক মজুরিতে কাজ করা শ্রমিকদের সমস্যায় ফেলেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে,, এদিন তা খণ্ডন করে এমনটাই জানাল কেন্দ্র। একটি বিবৃতিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের সীমান্তে “দক্ষ প্রত্যুত্তর কেন্দ্র” তৈরি করা হয়েছে, ৩০ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাসকে (Coronavirus) জনস্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা ঘোষণার আগেই তা তৈরি করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে, দেশজুড়ে লকডাউন জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে এসেছে সমালোচনা, তাদের অভিযোগ, কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই এই লকডাউন ঘোষণা করার ফলে, বহু মানুষ অসহায় অবস্থায় পড়েছেন এবং খাদ্য ও অন্যান্য অত্যাবশকীয় পণ্যের জোগান নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
খোশমেজাজে 'রামায়ণ'-এ ডুবে মন্ত্রীমশাই, সোশ্যালে ভাইরাল হতেই ডিলিট ছবি!
করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোনো নিষিদ্ধ করেছে সরকার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মানুষকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে।
সমস্ত গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করা হয়েছে, বন্ধ করা হয়েছে সমস্ত গণপরিবহন, খাদ্য, আশ্রয় ছাড়া অনেকে, এবং হেঁটে কয়েকশো কিলোমিটার পাড়ি দিতে দেখা দিয়েছে অনেকজনকে।
করোনার মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করেছে সরকার, যদিও সবেচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পাঁছাতে পারেনি তারা।
নিজেদের পক্ষে সওয়াল করে, সরকার জানিয়েছে, আগত বিমানের যাত্রীদের পরীক্ষা করা, ভিসা বাতিল করা, এবং অন্যান্য দেশের আগেই আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ করা হয়েছে।
১৮ জানুয়ারি চিন এবং হংকং থেকে আগত আন্তর্জাতিক যাত্রীদের পরীক্ষা করা শুরু হয়, ভারতে প্রথম করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে ৩০ জানুয়ারি।
নার্সকে ফোন স্বয়ং মোদির, করোনায় অক্লান্ত পরিষেবার জন্য কুর্নিশ প্রধানমন্ত্রীর
ইতালি ও স্পেনের উদাহরণ তুলে ধরে, বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একাধিক সক্রিয় পদক্ষেপ করেছে সরকার, এবং যেভাবে পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাও তুলে ধরা হয়েছে।
১২টি বড় এবং ৬৫টি ছোটো বন্দর, ৩০টি বিমানবন্দর এবং সীমান্তে যাত্রীদের পরীক্ষা করা গয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার, পাশাপাশি জানানো হয়, ৩৬ লক্ষ যাত্রীর পরীক্ষা করা হয়েছে।
সরকারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নজরদারির বিষয়ে আরও পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে যাতে, কোনও ফাঁক না থাকে।
সরকারের তরফে বলা হয়েছে, “একটি নির্ভুল পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে, যাতে কেউ নজরদারি এড়িয়ে যেতে না পারে, অথবা কোয়ারান্টাইনের নিয়মাবলী যে মানছে না”।
শনিবার পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭৩, মৃতের সংখ্যা ১৯ বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে।