Coronavirus: এই ভাইরাসের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে ২০০২ সালে ছড়িয়ে পড়া Sars-CoV বা SARS ভাইরাসের
হাইলাইটস
- করোনা ভাইরাসের ছবি ধরা পড়ল পুণের বিজ্ঞানীদের অনুবীক্ষণ যন্ত্রে
- এই ভাইরাসের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে ২০০২ সালে ছড়িয়ে পড়া SARS ভাইরাসের
- উহান ফেরত ভারতীয় ছাত্রীর শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনায় মেলে ওই ভাইরাস
পুণে: তবে কি এবার করোনা ভাইরাসকে দমাতে পারবে ভারত? কারণ পুণের আইসিএমআর-এনআইভির বিজ্ঞানীদের ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ বা অনুবীক্ষণ যন্ত্রে এই প্রথম ধরা পড়ল করোনা ভাইরাসের ছবি। কীভাবে ওই ভাইরাসের (Coronavirus Image) হদিশ মিলল সেই তথ্য সহ করোনা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করা হল ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিকেল রিসার্চে। জানা গেছে, গত ৩০ জানুয়ারি ভারতের প্রথম Sars-Cov-2 ভাইরাস আক্রান্তের গলা থেকে সংগৃহীত নমুনা গবেষণাগারে বিশ্লেষণ করার সময় ওই ছবিটি তোলা হয়। করোনা আক্রান্ত যে মহিলার গলা থেকে সংগ্রহ করা লালায় ওই ভাইরাস (Coronavirus) মেলে তিনি এর আগে চিনের উহানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পড়াশুনো করছিলেন। ওই দেশ থেকে ভারতে ফিরে আসার পরেই তাঁর শরীরে COVID-19 এর সংক্রমণ ধরা পড়ে।
উহান ফেরত ওই ছাত্রী আদতে কেরলের বাসিন্দা। বছর দুয়েক আগে মেডিসিন বিভাগে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্যে চিনে গেছিলেন তিনি। তাঁরই শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় মেলে করোনা ভাইরাসের ছবি। পুণের বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ভাইরাসের সঙ্গে আকারগত সাদৃশ্য রয়েছে ২০১২ সালে চিনে ব্যাপক সংক্রমণ ঘটানো Mers-Cov ভাইরাস বা মিডল ইস্ট রেস্পিরেটরি সিন্ড্রোম করোনাভাইরাসের। পাশাপাশি এই ভাইরাসের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে ২০০২ সালে ছড়িয়ে পড়া Sars-CoV বা SARS (সিভিয়র অ্যাকিউট রেস্পিরেটরি সিন্ড্রোম) নিউমোনিয়া ভাইরাসেরও।
এটা পরিষ্কার বিশ্বে মন্দা চলছে, বললেন আইএমএফ প্রধান
পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (NIV) -তে করা কেরলের ছাত্রীর শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনাগুলির জিন সিকোয়েন্সিংয়ে দেখা গেছে যে উহানের ভাইরাসের সঙ্গে এই ভাইরাসটি ৯৯.৯৮ শতাংশ মিল রয়েছে।
"আমি কোভিড-১৯ পজিটিভ", টুইটে বার্তা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের
"SARS-CoV-2 এর ট্রান্সমিশন ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপি ইমেজিং" নামে প্রকাশিত ওই নিবন্ধটি লিখেছেন আইসিএমআর-এনআইভি জাতীয় ইনফ্লুয়েঞ্জা কেন্দ্রের বিশেষ দলের বৈজ্ঞানিকরা। লেখকদের মধ্যে রয়েছেন এনআইভির পুণের উপ-নির্দেশক এবং ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপি এবং প্যাথলজি বিভাগের প্রধান অতনু বসু।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে যে COVID-19 আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। গোটা দেশে এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন এবং শুক্রবার শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ভারত জুড়ে করোনা আক্রান্ত ৭০০-রও বেশি মানুষ। এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন পর্ব চলছে। আপাতত আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশবাসীকে ঘরের চৌকাঠ পেরোতে বারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।