ভারতে ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাস (Coronavirus Cases) আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৮ জন, মঙ্গলবার এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার, ফলে দেশে মোট করোনা (CVID 19) আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৭৮৯ জন, নতুন করে ১৩ জনের মৃত্যু হওয়ায় ভারতে করোনা ভাইরাসের বলি ১২৪ জন। সোমবার ৭০৪ জনের থেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে, তবে তার তিন দিন আগের হার বজায় থেকেছে। আমেরিকার মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১০,০০০, সেই তুলনায় ভারতে মৃত্যুর হার অনেকটাই কম। গতমাসে দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ফলে অনেকটাই থমকে যায় মৃত্যুর হার।
রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫, নতুন করে আক্রান্ত ৮
তবে মাত্র চারঘন্টার ব্যবধানে লকডাউন জারি করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় প্রধানমন্ত্রীকে, এবং সেই লকডাউব বাড়ানো হতে পারে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে চলতি সপ্তাহেই।
লকডাউনের ফলে থমকে গিয়েছে ২.৯ ট্রিলিয়ন অর্থনীতি, কয়েক মিলিয়ন মানুষ কর্মহারা হয়েছেন এবং খাবার ও আশ্রয়ের খোঁজে নিজেদের বাড়ি ফেরার পথ ধরেছেন ভিন রাজ্যে কর্মরত দৈনিক মজুরির শ্রমিকরা।
আগামী সপ্তাহেই শেষ হতে চলেছে ২১ দিনের লকডাউন, তবে অনেক রাজ্য থেকেই, আংশিকভাবে লকডাউন প্রত্যাহার বা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব এসেছে, তাদের যুক্তি, এটিই করোনা ভাইরাস অতিমারী রুখে দেওয়ার একমাত্র পথ, নাহলে তা সামলানো যাবে না।
বহু রাজ্যই বাড়াতে চাইছে লকডাউন; ১৪ এপ্রিলেই লকডাউন শেষ না হওয়ার জল্পনা: সরকারি সূত্র
গতমাসে দিল্লির জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন তেলেঙ্গানার বহু মানুষ, ফলে সেখানে ছডিয়েছে করোনা ভাইরাস, সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এর দাবি, দেশের অর্থীতিতে এর প্রভাব পড়তে পারে, জীবন ধারণের জন্য যা আরও গুরুত্বপূর্ণ।
সাংবাদিকদের কেসিআর বলেন, “১৫ এপ্রিলের পরেও লকডাউন চলার পক্ষে আমি। কারণ, আমরা আর্থিক সমস্যার সমাধান করতে পারব, কিন্তু আমরা জীবন ফেরাতে পারব না”।
ভাইরাসের মোকাবিলায় সীমানা সিল করে বা সীমিতভাবে রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অসম এবং ছত্তিশগড়।
(এজেন্সির তথ্য সংযোজিত হয়েছে)
World
India
State & District Details
State | Cases | Active | Recovered | Deaths |
---|