এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
গত দুমাসে, পরীক্ষার ক্ষমতা ১০০ গুণ বাড়িয়েছে ভারত, আগে যেখানে একদিনে ১০০ জনের পরীক্ষা করা যেত, চলতি মাসে প্রতিদিন ১ লক্ষ মানুষের শারিরীক পরীক্ষা করা যায় ভারতে।
ভারতে প্রতি মিলিয়ন জনসংখ্যার হারে পরীক্ষার ক্ষেত্রে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা (প্রতি মিলিয়নে ২,০০০), স্পেনে (৬৫০০০), আমেরিকা ও জার্মানি রয়েছে (৩৮,০০০ করে), এবং ফ্রান্সে সংখ্যাটা প্রায় (২১,০০০)।
মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত, সেখানে একদিনে আক্রান্ত ২,৯৪০ জন, তামিলনাড়ুতে নতুন করে আক্রান্ত ৭৮৪ জন। অতিমারী করোনার ছোবলে ভারতে এই দুটি রাজ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৪৪,০০০, তামিলনাড়ুতে সংখ্যাটা ১৪,০০০ জন।
শুক্রবার দিল্লিতে করোনা ভাইরাসে ৬৬০ জন নতুন করে আক্রান্ত। এখদিনে সেখানে কন্টেনমেন্ট জোন ৭৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯২ জন। দেশে করোনা আক্রান্তের তালিকায় চতুর্থস্থানে রয়েছে দিল্লি (১২,৩১৯ জন)।
আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলার মধ্যেই, সোমবার থেকে বিমান পরিষেবা চলার কেন্দ্রের ঘোষণা পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে তামিলনাড়ু।
বৃহস্পতিবার, অসামরিক বিমানমন্ত্রী হরদ্বীপ সিং পুরি জানিয়েছেন, ছোটো দেশী বিমান সফরে যাত্রীদের কোয়ারান্টিনে যেতে হবে না। বহু রাজ্য, কর্নাটক, কেরল, জম্মু ও কাশ্মীরের তরফে বিমানে সফর করে সে রাজ্যে গেলেই কোয়ারান্টিনে যাওয়া বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে।
করোনা ভাইরাস লকডাউনের কারণে, ভিসা এবং সফরে জারি করা লকডাউন লঘু করা হয়েছে বিদেশে আটকে পড়া, দেশে ফিরতে ইচ্ছুক অনাবাসী ভারতীয় নাগরিকদের ক্ষেত্রে, শুক্রবার বিকেলে এমনটাই জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, প্রতি এক লক্ষ জনসংখ্যার মধ্যে ৮ জনের কিছু কম সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত, সেখানে বিশ্বে এই হার ৬২ জন। সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে, প্রতি এক লক্ষে ভারতে মৃতের হার ০.২৪ শতাংশ, সেখানে বিশ্বে এই হার ৪.২ লক্ষ। বৃহস্পতিবার সরকারের তরফে আরোগ্যলাভের হার ৭.১ শতাংশের হার থেকে বেড়ে ৪০.৩১ শতাংশ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে ৫৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত, মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩,৪০,০০০ জন। রাশিয়াকে টপকে দিয়েছে ব্রাজিল, তারা এখন দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত, পিছনে ফেলেছে আমেরিকাকে। মার্কিন মুলুক করোনার মূলকেন্দ্র।
এই প্রথমবার চিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য, জানুয়ারিতে তারা করোনার পরিসংখ্যান জানাতে শুরু করে। ডিসেম্বরে চিনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস।