This Article is From May 06, 2020

ভারতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৫০,০০০ পেরলো, ৩ দিনে আক্রান্ত ১০,০০০

এখন দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০,৫৪৫ জন, বেশিরভাগ আক্রান্তই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা

ভারতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৫০,০০০ পেরলো, ৩ দিনে আক্রান্ত ১০,০০০

গত ৩ দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০,০০০ (ফাইল)

নয়াদিল্লি:

বুধবার দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের (Coronavirus Cases) সংখ্যা ৫০,০০০ পেরলো, চারমাস আগে প্রথম কেরলে করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল। গত তিনদিনের ব্যবধানে দেশে প্রায় ১০,০০০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এখন দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০,৫৪৫ জন, বেশিরভাগ আক্রান্তই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। এখনও পর্যন্ত ১৪,০০০ এর বেশি মানুষ আরোগ্যলাভ করেছেন এবং ১,৬৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,৭৫৮ জন, তারমধ্যে বুধবারই ১,২৩৩ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। মহারাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের মধ্যে বেশিরভাগ মুম্বইয়ের বাসিন্দা, সেখানে করোনা আক্রান্ত ১০,৭১৪ জন।

দেশে করোনা আক্রান্তের মধ্যে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে গুজরাট, সেরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৬২০০ এর বেশি, তারপরেই রয়েছে রাজধানী দিল্লি, সেখানে আক্রান্ত ৫,০০০ জন। দিল্লির পরেই রয়েছে তামিলনাড়ু, যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪,০০০ পেরিয়েছে।

"দেশের মধ্যে বাংলায় সংক্রমণে মৃত্যুর হার বেশি", রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্র

গত ডিসেম্বরে চিনের উহান শহরে ছড়িয়ে পড়ে এই মারণ ভাইরাস, মার্চে তা অতিমারীর আকার নেয় এবং জানুয়ারিতে ভারতে আসে। ৩০ জানুয়ারি কেরলে প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলে। আক্রান্ত পড়ুয়া উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছিলেন।

মার্চে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে, ২৫ মার্চ কেন্দ্রের তরফে লকডাউন জারির আগেই একের পর এক রাজ্য লকডাউনের ঘোষণা করে।

দু ধাপে লকডাউন বাড়ানো হয়, প্রথমবার ১৪ এপ্রিল, এবং পরেরবার ৩ মে। বর্তমান লকডাউনের মেয়াদ ১৭ মে পর্যন্ত। যদিও এক্ষেত্রে কিছু রাজ্যের তরফে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ২৯ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে তেলেঙ্গানা।

কোয়ারান্টাইন করে রাখার পর ৪,০০০ তাবলিগি জামাত সদস্যকে মুক্তি দিল সরকার

লকডাউনের ফলে দেশে অর্থনৈতিক গতিতে ব্যাঘাত ঘটেছে, লকডাউনের কারণে রয়েছে দেশের শিল্পোৎপাদন। সরকার এবং বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা কর্মীদের বেতন কমানোর ঘোষণা করেছে। বিনা বেতনে ছুটি বা ছাঁটইয়ের ঘোষণা করেছে বিমান পরিষেবার মতো ক্ষেত্র।

লকডাউনের কারণে, রোজগার থমকে যাওয়া অনাহারে থাকতে বাধ্য হয়েছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক।

.