ভারতে করোনা ভাইরাস (Coronavirus Cases) আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ পেরোল, আরও বেশি মানুষের পরীক্ষা করা হয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তামিলনাড়ু এবং অন্যান্য রাজ্যে। ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, অন্যদিকে এদিনই বিভিন্ন রাজ্যের তরফে নানান নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে ভারতে ৩,০০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক রাজ্য বাজার, স্থানীয় গণপরিবহন, সেলুন খোলার অনুমতি দিয়েছে করোনামুক্ত এাকাগুলিতে। বহু রাজ্য বাজার খোলার নির্দেশিকা জারি করেছে, স্থানীয় পরিবহন এবং করোনা ভাইরাসমুক্ত এলাকাগুলিতে সেলুন খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে স্কুল, কলেজ, সিনেমাহল, শপিং মলগুলি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
লকডাউন ৪! মহারাষ্ট্রে বিধি শিথিল অসম্ভব, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
সোমবার সকালে ভারতে একদিনে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে, তার আগে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬,১৬৯ জন।
রাজ্যের কোর্টেই বল ঠেলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, করোনা ভাইরাসের পরিস্তিতি অনুযায়ী তাদের হাতে লাল, কমলা ও সবুজ রং এলাকা ঠিক করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। বাস ও অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। যদিও বিমান ও মেট্রো চলাচল বন্ধই রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ করেছে ভারত।
জোড়-বিজোড় দিনে দিল্লিতে খুলবে দোকান, পরিমিত যাত্রী নিয়ে চলবে অটো-বাস
ভিডিও কনফারেন্সে ৭৩ তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বজুড়ে সহযোগিতাই শ্রেষ্ঠ। সরকার, শিল্প এবং জনদরদীদের এই ঝুঁকির বিরুদ্ধে সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে, উৎপাদন এবং বিতরণ, সবাই যাতে ফল পায় সেই শর্তে, যেখানে উন্নয়ন করা দরকার করতে হবে”।
ভারত সবচেয়ে বেশিমাত্রায় রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে বলে জানান কেন্দ্রীয়মন্ত্রী।