COVID-19: বৃহস্পতিবার কেরলে আরও ১৯টি করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে
হাইলাইটস
- করোনা আক্রান্ত নতুন করে ৮৮ জন, দেশে সংখ্যা পৌঁছাল ৭০০
- সাধারণ মানুষের জন্য ১.৭ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী
- আন্তর্জাতিক উড়ান বাতিলর সময়সীমা বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল করা হয়েছে
নয়াদিল্লি:
ভারতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে ৮৮ জন বেড়ে ৭০ ঠেকতে চলল বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্যে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার এই কপি লেখা পর্যন্ত ভারতে করোনা আ্ক্রান্তের সংখ্যা ৬৯৪, তারমধ্যে ৪৭ জন বিদেশি, ৪২ জন আরোগ্যলাভ করেছেন অথবা তাঁদে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, এবং ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২১ দিনের লকডাউনের দ্বিতীয় দিন ছিল বৃহস্পতিবার, সাধারণ মানুষের জন্য ১.৭ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। খাদ্য সুরক্ষা এবং অত্যাবশকীয় পণ্য সামগ্রি কেনায় অর্থের জোগানে এই টাকা খরচ হবে। অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে অন্যান্য রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন বাংলা ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। বিন রাজ্যের শ্রমিকদের জন্য ১০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। গত সপ্তাহে নিষিদ্ধ করা আন্তর্জাতিক উড়ান বাতিলর সময়সীমা বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল করা হয়েছে।
এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
সরকার ঘোষণা করেছে যে, ৫ কেজি করে চাল অথবা আটা এবং ইচ্ছেমতো ১ কেজি করে ডাল দেওয়া হবে আগামি তিনমাস। দেশের গরীব মানুষদের এই সুবিধা দেওয়া হবে। এটা আগের ঘোষণা করা ৫ কেজি করে আটা অথবা চালের সঙ্গে যোগ হতে পারে।
৮ শ্রেণীর মানুষের জন্য প্রত্যক্ষভাবে নগদ অর্থ দেওয়া হবে, পেনশনভোগী, মহিলা সহ বিশেষক্ষমতাসম্পন্নদের প্যাকেজের মধ্যে রাখা হয়েছে।
শিল্পমহলের জন্য ছাড়ের প্যাকেজের প্রত্যাশার মধ্যেই এদিন এই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। নির্মলা সীতারামন বলেন, এখনকার জন্য, গরীব মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে সরকারকে। তিনি বলেন, “কেউই ক্ষুদার্ত থাকবেন না”।
বৃহস্পতিবার টেলিকনফারেন্সের পর, জি-২০ দেশগুলি জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির জোগান দেবে তারা। একটি যথাযথ অ্যাকশন প্ল্যানের আহ্বান জানিয়ে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আন্ধানম ঘেব্রিসিয়াস জানান, ভাইরাসে সংক্রমণ ঠেকাতে শুধুমাত্র লকডাউন যথেষ্ঠ নয়। তাঁর কথায়, “খুঁজে বের করা, আইসোলেশন করা, পরীক্ষা করা, চিকিৎসা করা, লক্ষ্য রাখা শুধুমাত্র সবচেয়ে ভাল এবং দ্রুত সামাজিক ও আর্থিক কড়াকড়ির উপায় নয়, তাঁদের দূরে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় রয়েছে”।
বৃহস্পতিবার কেরলে আরও ১৯টি করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে, ফলে চিকিৎসাধীন আক্রান্তের সংখ্যা ১২৬ পৌঁছেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। মহারাষ্ট্রে আরও তিনটি করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে, ফলে সেখানে সংখ্যাটা ১২৫। দেশে মোট করোনার ঘটনার মধ্যে এই দুটি রাজ্যে রয়েছে এক তৃতীয়াংশ।
১৪ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক উড়ান বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই নিয়ম কার্গো বিমান বা অসামরিক বিমান পরিবহনের থেকে অনুমতি নেওয়া বিশেষ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। দেশী বিমান বাতিল থাকবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
এর আগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ৪৩টি নতুন ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিক লাভ আগরওয়াল বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে, কোনও ক্ষেত্রেই এই মুহুর্তে আমরা হাল্কা করছি না”।
খড়গপুর আইআইটি জানিয়েছে, বাজারে পাওয়া ভেন্টিলেটরের থেকেও কম দামে ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করতে চলেছে তারা। বর্তমানে এতে খরচ হয় ইউনিট প্রতি ৪ লক্ষ টাকা, সমস্ত অংশ দেশে তৈরি হওয়ায় খড়গপুর আইআইটির তৈরি ভেন্টিলেটরে খরচ পড়বে ইউনিট প্রতি ৭০,০০০ টাকা।
দুদিন আগে, দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জাতীয় বিপর্য়য় মোকাবিলা আইনে এই লকডাউন ভাঙলে শাস্তির কথা বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “সবাইকে সুরক্ষিত করার এটাই একমাত্র রাস্তা”।
Post a comment