West Bengal: বৃহস্পতি এবং শুক্রবার রাজ্য জুড়ে চলবে লকডাউন (প্রতীকী ছবি)
হাইলাইটস
- করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখতে পরপর দু'দিন লকডাউন রাজ্যে
- বৃহস্পতি ও শুক্রবার পশ্চিমঙ্গে লকডাউন জারি
- লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা যাতে মানা হয় তার জন্য চলছে কড়া পুলিশি প্রহরা
কলকাতা: আজ বৃহস্পতিবার এবং আগামিকাল শুক্রবার, পরপর দু'দিন টানা লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। করোনা (Coronavirus) ভাইরাসের সংক্রমণের গতি রুখতে সপ্তাহে দু'দিন করে লকডাউন (Lockdown) জারি রাখার ঘোষণা আগেই করে রাজ্য সরকার। সেই মতোই বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই স্তব্ধ হয়ে যায় বঙ্গজীবন। বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দোকান, বাজার ও ব্যাঙ্ক। তবে জরুরি পরিষেবার আওতায় ওষুধ ও দুধের দোকান এবং পেট্রোল পাম্পগুলিকে খোলা রাখা হয়েছে। লকডাউনের ফলে ব্যস্ত শহর কলকাতা ও রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলির পথঘাট রীতিমতো শুনশান চেহারা নিয়েছে। মানুষ ঘরের ভিতরেই রয়েছেন। লকডাউন যাতে যথাযথভাবে মানা হয় তার জন্য কলকাতা সহ অন্যান্য জেলাগুলোর বড় মোড়গুলিতে পুলিশ কর্মীরা কড়া নজরদারি জারি রেখেছে। কোনও বৈধ কারণ ছাড়া যাতে মানুষ রাস্তায় বের না হন তার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। এই লকডাউনে বন্ধ বিমান পরিষেবাও। বন্ধ ফেরি চলাচলও।
লকডাউনের কারণে আপ ও ডাউন হাওড়া-পাটনা এক্সপ্রেস, হাওড়া-নিউ দিল্লি এসি এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-নিউ আলিপুরদুয়ার স্পেশাল ট্রেন, হাওড়া-ভুবনেশ্বর স্পেশাল ট্রেন, শালিমার-পাটনা দুরন্ত স্পেশাল এক্সপ্রেস, যশোবন্তপুর-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ -ভুবনেশ্বর দুরত্ব এক্সপ্রেস৷ এছাড়া আরও কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ কমিয়ে আনা হয়েছে ৷ এর মধ্যে সেকেন্দ্রাবাদ-হাওড়া স্পেশাল, এই ট্রেন হাওড়ার বদলে ভুবনেশ্বর আসবে ৷ ভুবনেশ্বর থেকে নয়া-দিল্লি স্পেশাল এবং এসি এক্সপ্রেসের এই রাজ্যে কোনও স্টপেজ থাকছে না । লকডাউন মিটে যাওয়ার পরে হাওড়া-মুম্বাই সি এস এম টি স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে।
এদিকে সারা দেশের মতোই পশ্চিমবঙ্গেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এখনও পর্যন্ত এরাজ্যে মোট ১,২৫,৯২২ জন করোনার কবলে পড়েছে। বুধবার পর্যন্ত এরাজ্যে ২,৫৮১ জনের প্রাণ কেড়েছে এই মারণ রোগ।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড হারে ছড়ালো করোনা সংক্রমণ। ৬৯,৬৫২ জন নতুন করে এই মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮,৩৬,৯২৬ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বৃহস্পতিবার যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে তাতে দেখা গেছে, তাজা সংক্রমণের হিসাবে ক্রমশই শক্তি বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। তবে এরই মধ্যে চিকিৎসা সহায়তায় কোভিড-১৯ থেকে ২০.৯৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনার প্রকোপ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, ফলে রোগ থেকে পুনরুদ্ধারের হার বেড়ে এখন ৭৩.৯০%। গত একদিনের মধ্যে দেশ জুড়ে এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ৯৭৭ জনের, ফলে মারণ রোগে এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫৩,৮৬৬ এ পৌঁছেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পর করোনা সংক্রমণের হিসাবে বিশ্বের তৃতীয় দেশ হলো ভারত।