Read in English
This Article is From Apr 02, 2020

সংক্রমণে মৃত্যু, কবরের অনুমতি না পেয়ে মুসলিম বৃদ্ধের শেষকৃত্য শ্মশানে

মৃত্যুর কারণ করোনা সংক্রমণ। তাই শেষকৃত্য হিসেবে দাহ করা হল এক মুলসিম বৃদ্ধকে। কবরস্থান কমিটি সেই বৃদ্ধের পরিবারকে দেহ কবর দিতে অনুমতি দেয়নি

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বই শহরতলির মালাড এলাকায়। (ছবি: প্রতীকী)

মুম্বই :

মৃত্যুর কারণ করোনা সংক্রমণ ( Corona Outbreak)। তাই শেষকৃত্য হিসেবে দাহ করা হল এক মুলসিম বৃদ্ধকে> কবরস্থান কমিটি সেই বৃদ্ধের পরিবারকে দেহ কবর দিতে অনুমতি দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে দাহ। মৃতের পরিবারের এমনটাই অভিযোগ।  মুম্বই শহরতলির মালাডের এই ঘটনা ঘিরে বৃহস্পতিবার উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। জান গিয়েছে, মৃত সেই বৃদ্ধ মালাড মালওয়ানির বাসিন্দা। যোগেশ্বরীর (Jogeshwari) এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মালাডের এই কবরস্থানে বুধবার দেহ নিয়ে যাওয়া হলে কবর দিতে বাধা দেওয়া হয়। যুক্তি দেখানো হয়েছিল, করোনা সংক্রমণের জেরে মৃত্যু। তাই কবর দেওয়া যাবে না। পুরসভা অনুমতি থাকলেও, বাধা দেওয়া হয় ওই পরিবারকে বলে অভিযোগ।  স্থানীয় থানা ও রাজনীতিবিদরা ময়দানে নামলেও, আদায় করা যায়নি অনুমতি।

আঁতুড়ঘরে সংক্রমণ খুঁজতে ফাস্টট্র্যাক টেস্ট কিট? সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রের টাস্কফোর্স

এরপর কয়েকজন সমকর্মী স্থানীয় হিন্দু সৎকার সমিতির দ্বারস্থ হলে, তারা শ্মশানে দাহ করার অনুমতি দেয়। সব প্রক্রিয়া সেরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য। এ বিষয়ে পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্যের মন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক আসলাম শেখ বলেছেন, "সরকারি নির্দেশে বলা আছে, করোনা সংক্রমণে কোনও মুলসিম নাগরিকের মৃত্যু হলে তাঁকে কাছের কোনও স্থানে কবর দিতে হবে।" কিন্তু এই পরিবারের ক্ষেত্রে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছিল। কাউকে না জানিয়ে, সেই দেহ নিয়ে সোজা মালওয়ানির সেই কবরস্থানে চলে গিয়েছিল মৃতের পরিবার। এমনকি, জানত না কবরস্থান কমিটি। ফলে এই অসুবিধা। এদিন জানিয়েছেন ওই মন্ত্রী। 

Advertisement

যদিও অন্য কথা বলছে মৃতের ছেলে। তাঁর অভিযোগ, "আমি বাবার দেহ নিয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি কেউ সাহায্য করতে আসেনি। আমরা চেয়েছিলাম মালাড-মালওয়ানি কবরস্থানে সৎকার করতে। কিন্তু কবরস্থান কমিটি সৎকারে অনুমতি দেয়নি। বলা হয়েছিল, করোনা সংক্রমণে মৃত্যু, তাই কবর দেওয়া যাবে না।" 

যদিও, স্থানীয় বিধায়কের সুর শোনা গিয়েছে কাউন্সিলরের গলাতে। তাঁর দাবি, "পুরসভার কর্মীরা জানতেন, করোনায় কোনও মুসলিমের মৃত্যু হলে স্থানীয় স্থানে কবর দিতে হবে। সেখানে কীভাবে যোগেশ্বরী থেকে মালাড আনা হল দেহ।"

Advertisement
Advertisement