This Article is From May 28, 2020

কোভিড- ১৯ মোকাবিলায় কেন্দ্রকে পরামর্শ দিচ্ছে মার্কিন সংস্থা!

Coronavirus: লকডাউনের সময় করোনা সংক্রমণের সরকারি পরিসংখ্যান দেওয়ার সময় বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ নামের মার্কিন সংস্থার "সন্দেহজনক ভূমিকা" প্রকাশ হয়ে পড়ে

Coronavirus Lockdown: কেন্দ্র যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন

হাইলাইটস

  • করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র মার্কিন সংস্থার সাহায্য নিচ্ছে বলে উঠেছে অভিযোগ
  • বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নজিরবিহীনভাবে ওই সহায়তা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার
  • যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রক
নয়া দিল্লি:

বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ (Boston Consulting Group) নামে একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক পরামর্শ সংস্থা, কোভিড -১৯ (Coronavirus) এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে (Coronavirus Lockdown) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রককে সহায়তা করছে বলে জানতে পেরেছে NDTV। বোস্টনের ওই সংস্থাটি ৫০ টি দেশের সরকারকে পরিচালনার ক্ষেত্রে কৌশলগত পরামর্শ দেওয়ার জন্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। কিন্তু বিসিজি নামের ওই মার্কিন সংস্থার ওয়েবসাইটে বর্তমান করোনা মহামারীর মতো জনস্বাস্থ্য সংকটে সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতার সুনির্দিষ্ট কোনও উল্লেখ নেই। ওই সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ (India) কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে সরকারি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে যার মধ্যে রয়েছে করোনাকে রুখতে পরিকল্পনা করা এবং প্রবণতা বিশ্লেষণ করা। কিন্তু ওই রোগের বিরুদ্ধে নীতি নির্ধারণে বিসিজি কোনও মন্তব্য করতে পারে না"।

১ মে থেকে ৯১ লক্ষ পরিযায়ীকে ঘরে ফেরানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টকে বলল কেন্দ্র

এবিষয়ে যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রক কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

লকডাউনের সময় করোনা সংক্রমণের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যখন পরিসংখ্যান ও কর্মসূচী বাস্তবায়ন সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরছিল সেই সময়েই বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ নামের মার্কিন সংস্থাটির "সন্দেহজনক ভূমিকা" প্রকাশ হয়ে পড়ে।

সরকার দাবি করেছে যে, ২৫ মার্চ থেকে ১৫ মে-র মধ্যে প্রায় ৩৬ থেকে ৭০ লক্ষ করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা এড়ানো গেছে এবং লকডাউন জারি থাকার কারণে ১.২ থেকে ২.১ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচানো গেছে। জানা গেছে, সরকার এই পরিসংখ্যানটি বিসিজি-র পরামর্শ অনুযায়ীই দিয়েছে। 

তবে বিসিজি বা বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপটি কীভাবে এই পরিসংখ্যানে এসে পৌঁছেছে সেবিষয়টি স্পষ্ট নয়। একাধিক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে যে বিসিজির অনুমান অনুসারেই সরকার ওই তথ্য সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেও কীসের ভিত্তিতে ওই পরিসংখ্যান সেসম্পর্কে কোনও পর্যাপ্ত বিবরণ মেলেনি।

পরিযায়ী সংকটে কিছু লোকের নেতিবাচক মানসিকতাকেও দায়ী করল কেন্দ্র

NDTV জানতে পেরেছে যে, বিসিজি দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড-১৯ কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে। এবিষয়ে বিসিজি ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান জন্মেজয় সিনহা মন্ত্রকের জন্যে যে তাঁরা কাজ করছেন সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি এটা জানিয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে মিলেমিশে কিছু কাজ অবশ্যই করছে বিসিজি ।

"আমরা যে কোনও ক্লায়েন্টের সঙ্গে, কোথায় আমরা কী করছি তা নিয়ে কথা বলি না। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক স্বীকার করে নিয়েছে যে আমাদের একটি দল তাদের সঙ্গে কাজ করছে", বলেন তিনি।

.