This Article is From May 16, 2020

১৩০০ কিমি দূরে বাড়ি, আহত শিশুকে বাঁশের তৈরি স্ট্রেচারে শুইয়ে কাঁধে নিয়েই হাঁটা

Coronavirus: লকডাউনের কারণে বাড়ি থেকে বহু দূরে আটকে পড়েছে বহু পরিযায়ী শ্রমিক পরিবার, অনাহার থেকে বাঁচতে যেকোনও উপায়ে তাই নিজেদের ঘরে ফিরতে চান তাঁরা

Uttar Pradesh, Coronavirus: ছেলেটির ঘাড় ভেঙে গেছে, জানিয়েছে তাঁর পরিবার

হাইলাইটস

  • লকডাউনের জেরে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছেন অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক
  • কেন্দ্র ওই পরিযায়ীদের ফেরাতে শ্রমিক স্পেশালের ব্যবস্থা করলেও তা অপ্রতুল
  • বহু মানুষ তাই পায়ে হেঁটেই ঘরে ফেরার চেষ্টা করছেন
নয়া দিল্লি:

লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) জেরে ভিনরাজ্যে আটকে পড়ে চরম দুর্দশার মধ্যে কাটাতে হচ্ছে বহু পরিযায়ীদের। কেউ কেউ তো আবার বাড়ি ফিরতে নিজেদের পায়ে ভরসা করেই পথে বেরিয়ে পড়েছেন। মাইলের পর মাইল হাঁটছেন, লক্ষ্য একটাই, যেকোনওভাবে ঘরে ফিরতে হবে। আর আশঙ্কা? না ফিরতে পারলে করোনায় (COVID- 19) ভুগে না হলেও অনাহারে তো মরতে হবেই। ঠিক তেমনই এক পরিবারের দেখা মেলে সেরিংয়ের (Uttar Pradesh) রাস্তায়। একই পরিবারের ১৭ জন সড়ক পথেই পায়ে পায়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। সঙ্গের ছোট ছেলেটির ঘাড় ভেঙে গেছে, যন্ত্রণার কাতরাচ্ছে সে। তাতে কী, তবুও হাঁটা থামায়নি ওই পরিবার। গুরুতর আহত শিশুটিকে বহনের জন্যে বাঁশ ও কাপড় দিয়ে হাতে তৈরি একটি স্ট্রেচার বানিয়েছেন তাঁরা। পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্যকে সেই স্ট্রেচারে শুইয়ে কাঁধে করেই পথ হেঁটেছেন তাঁরা। লুধিয়ানা থেকে মধ্যপ্রদেশের সিঙ্গরৌলি পর্যন্ত যাওয়াই লক্ষ্য, আর এর জন্যে পেরোতে হবে প্রায় ১৩০০ কিলোমিটার পথ।

দুটি ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত ২৪ পরিযায়ী শ্রমিক, আহত বহু

ঘরে ফেরার টান, তাই একরকম মরিয়া হয়েই পথে নেমে পড়েন ওই পরিযায়ীরা। যাত্রাপথে তাঁদের কাছে ছিল না কোনও পর্যাপ্ত খাবার, টাকা-পয়সা। এমনকী পায়ে নেই চটি-জুতোও, খালি পায়েই দীর্ঘ পথ পেরিয়ে যান তাঁরা।জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশের কানপুরে যাওয়ার পরে নাকি শেষ পর্যন্ত সহায়তা পায় ওই পরিযায়ী পরিবার। তবে ততক্ষণে অসুস্থ ছেলেটিকে কাঁধে বয়ে তাঁরা প্রায় ৮০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এসেছেন। সব জানার পরে কানপুরের পুলিশ তাঁদের জন্য একটি ট্রাকের ব্যবস্থা করে দিয়েছে বলে জানা গেছে।

একের পর এক এমন বহু ঘটনাই সামনে আসছে এই লকডাউনের মধ্যে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ফিরতে গিয়ে বহু পরিযায়ী শ্রমিক মারও গেছেন ইতিমধ্যেই। এযেন এক চরম হাহাকারের সময়। যে পরিবারটির কথা পড়লেন এরা আসলে দিনমজুরের কাজ করতেন। লকডাউনের ফলে ভিনরাজ্যে আটকে পড়েন তাঁরা। কোনও সহায়তা সেভাবে না পেয়ে পায়ে হেঁটেই ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।

মোদির ভারতের পাশেই আমেরিকা, করোনা মোকাবিলায় ভেন্টিলেটর দিয়ে সাহায্য

ওই পরিবারেরই এক সদস্য জানান, লুধিয়ানা থেকে প্রায় ১৫ দিন টানা হেঁটেছেন তাঁরা। সঙ্গের বাচ্চাটির ঘাড় ভেঙে যাওয়ায় কাঁধে তুলে নিয়েও পথ পেরিয়েছেন, থেমে যাননি তবুও। পেটে দানাপানি প্রায় কিছুই পড়েনি, তবু হেঁটেছেন, হেঁটেই গেছেন। তবে শেষপর্যন্ত পুলিশের সাহায্যে ওই ট্রাকের ব্যবস্থা হওয়ায় তাঁরা আশা করছেন খুব তাড়াতাড়ি নিজেদের ঘরে ফিরতে পারবেন। 

.