This Article is From Apr 13, 2020

হেনস্থা, সবজি বিক্রিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ মুসলিম ব্যবসায়ীর

UP, COVID-19: বিক্রেতাকে হেনস্থা করা হয়েছে, এবং গ্রাম ছাড়তে বলা হয় বলে অভিযোগ

হেনস্থা, সবজি বিক্রিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ মুসলিম ব্যবসায়ীর

Coronavirus: বিষয়টিতে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক পদস্থ আধিকারিক

লখনউ:

হেনস্থা করা এবং মাল বিক্রি করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে এবার প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেন উত্তরপ্রদেশের মাহোবা (Uttar Pradesh's Mahoba) জেলার পাঁচজন সব্জি ব্যবসায়ী। তাঁদের অভিযোগ, মুসলিম হওয়ার কারণেই, সব্জি বিক্রিতে বাধা দেওয়া হয়েছে তাঁদের। ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন NDTV কে বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাস (COVID-19)  ছড়ানোর অভিযোগ তোলার পাশাপাশি তবলিঘি (Tablighi Jamaat) জামাদের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে। এই তবলিঘি জামাতের জমায়েত থেকে দেশে কোরানা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। দায়ের করা অভিযোগে, ব্যবসায়ীরা জানান, ১১ এপ্রিল কয়েকটি গ্রামে সব্জি বিক্রি করতে যান তাঁরা। বহু মানুষ তাঁদের থেকে সবজি কিনছিলেন।

ওই ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মুসলিম হওয়ায় তাঁদের সবজি বিক্রিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হেনস্থা করা ও তাঁদের গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।

লকডাউনের মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে আগামীকাল সকাল ১০ টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন মোদি

এক ব্যবসায়ী মহম্মদ শামিম বলেন, “সবজি বিক্রির জন্য আমরা একটি গ্রামে যাই। সেখানে ১৫  মিনিটের মধ্যে প্রায় ১০০ মানুষ আমাদের থেকে সবজি কিনতে আসেন। তাঁদের মধ্যে ১০-১৫ জন আমাদের থেকে সবজি কেনেনও। তখনই কয়েকজন ব্যক্তি আসেন, এবং বলেন, এরা মুসলিম, এদের থেকে সবজি কিনবেন না”।

তিনি বলেন, “যে সমস্ত সবজি আমরা বিক্রি করেছিলাম, সেগুলি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। দুদিন ধরে, আমরা বেরোতে পারিনি। তাঁরা বলছিলেন, আমরা মুসলিম এবং আমাদের গাড়িতে  অর্ধচন্দ্রের ছবি রয়েছে। তাঁরা বলতে থাকেন, আমরা জামাতের সদস্য এবং করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছি”।

গত সপ্তাহে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের এক তৃতীয়াংশের সঙ্গে দিল্লিতে জমায়েতের উপস্থিত ব্যক্তিদের যোগ রয়েছে। মোট ১৭টি রাজ্য থেকে এই ধরণের সদস্যরা রয়েছেন বলে জানানো হয়। অনেক রাজ্য জামাতের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।

ভোর ছ'টা থেকেই দু'মুঠো অন্নের জন্য লাইন! লকডাউনে চরম বিপাকে দরিদ্ররা

জেলার এক সরকারি আধিকারিক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করেন এবং দ্রুত পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দেন।

করোনার থাবা থেকে শিশুদের দুরে রাখবেন কীভাবে, জানতে হলে ক্লিক করুন এই ভিডিতে: 

সরকারি আধিকারিক রাম সুরেশ শর্মা NDTV কে বলেন, “তাঁরা তাঁদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমি মহকুমা শাসককে তদন্ত করতে বলেছি। কারও কোনও সমস্যা হবে না। যা করার, করা হবে, আমরা নিশ্চিত করে এটা করব। নিশ্চিত করা হবে, জেলা প্রশাসনের দায়িত্বে কোনও গলতি নেই”।

.