আইসিএমআর-এর সঙ্গে যৌথ গবেষণায় ভারত বায়োটেক তৈরি করেছে করোনার ভ্যাকসিন। এমনটাই দাবি।দাবি
নয়াদিল্লি: ১৫ অগাস্টের মধ্যে করোনা টীকা (Corona Vaccine) তৈরি বিষয়ে এবার অবস্থান স্পষ্ট করল বিজ্ঞান মন্ত্রক। ২০২১-এর আগে কোনও টীকা বাজারে আসছে না। এমনটা স্পষ্ট করেছে মন্ত্রক (Ministry of Science on Covaccine)। শনিবার ডেডলাইন প্রসঙ্গে ভোলবদল করে বিবৃতি দিয়েছিল আইসিএমআর (ICMR)। এবার সক্রিয় হল সরকার। রবিবার দুপুরে বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, মোট ছয়টি ভারতীয় সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরির কাজে যুক্ত। তার মধ্যে কোভ্যাক্সিন আর জাইকোভ-ডি তৈরি। বিশ্বে মোট ১৪০টি ভ্যাকসিন তৈরির দাবি উঠেছে। মাত্র ১১টি টীকা হিউম্যান ট্রায়ালে আছে। কোনওটাই আগামি বছরের আগে বাজারে আসছে না। মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা আর ইউএস সংস্থা মডার্না উৎপাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এরা ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে টীকা উৎপাদন করবে।
এখনও পর্যন্ত দেশে সংক্রমিত ৬.৭ লক্ষ। (প্রতীকী ছবি)
এদিকে, সুরক্ষা এবং স্বার্থ প্রাথমিক প্রাধান্য। শনিবার বিবৃতিতে জানালো আইসিএমআর। সংস্থা এবং বায়োটেক ইন্ডিয়ার যৌন গবেষণায় আবিষ্কার করা গিয়েছে করোনার টীকা কোভ্যাক্সিন। এই দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে কোভ্যাক্সিনের হিউম্যান ট্রায়ালে সবুজ সংকেত দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল অফ ইন্ডিয়া। আগামী ১৫ অগাস্টের মধ্যে এই ট্রায়াল শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে আইসিএমআর। কেন্দ্রীয় এই সংস্থার এমন নির্দেশ ঘিরে দেশজুড়ে হৈচৈ। তাড়াহুড়োয় করোনার টীকা বাজারে ছাড়তে গিয়ে আপস করা হচ্ছে মানবদেহের স্বার্থে। যেখানে হিউম্যান ট্রায়াল একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আবিষ্কারের পর বাজারে ড্রাগ হিসেবে বাজারে আসতে নয় মাস সময় লাগে। সেখানে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে কীভাবে বাজারে আসবে এই ভ্যাকসিন? এই প্রশ্ন তুলেছেন ড্রাগ বিশেষজ্ঞরা। সেই প্রশ্নের জবাবেই এইদিন আইসিএমআর বিবৃতি দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে এমন টাই খবর।
সংস্থার ডিজি বলরাম ভার্গবের সই করা এক বিবৃতিতে লেখা ছিল, দেশের ১২টি হাসপাতাল ফাস্টট্র্যাকের ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিনের হিউম্যান ট্রায়াল সম্পন্ন করবে। শনিবার সেই বিবৃতির স্বপক্ষে আইসিএমআর জানিয়েছে, ডিজির চিঠির অর্থ হল লাল ফিতের ফাঁসে যাতে হিউম্যান ট্রায়াল আটকে না থাকে। অযথা যাতে পদ্ধতিকে বাইপাস করা না হয়। এবং যত বেশী সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয় সেটা নিশ্চিত করা।
তাদের দাবি, " বিশ্ব টীকা বিধি অনুসরণ করেই কাজ করে আইসিএমআর। যেখানে মানবদেহে এবং প্রাণীদেহে ভ্যাকসিন ট্রায়াল সমান্তরাল ভাবে চলবে। সর্বস্ব প্রচেষ্টা দিয়ে এই ট্রায়াল চলবে। আর নিয়মিত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। এর জন্য ডেটা সেফটি মনিটরিং বোর্ডকে সক্রিয় করা হবে।"