Read in English
This Article is From Jul 10, 2020

২০২১-এর আগে করোনা টীকা বাজারে আনা সম্ভব নয়! সংসদীয় কমিটিকে জানালেন কর্তারা

১৫ অগাস্টের মধ্যে এই টীকা বাজারে ছাড়তে উদ্যোগ নিয়েছিল তারা। যত দ্রুত সম্ভব হিউম্যান ট্রায়াল শেষ করার নির্দেশ টীকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের কাছে গিয়েছিল

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

সরকারের উপদেষ্টা মণ্ডলী এবং আধিকারিকেরা সংসদীয় কমিটির সামনে টীকা নিয়ে বিস্তৃত বর্ণনা করেছে।

নয়াদিল্লি :

অন্তত নতুন বছরের আগে বাজারে আসবে না করোনা টীকা। সংসদীয় এক কমিটিকে এ তথ্য জানালেন সরকারি আধিকারিকরা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির (Parliamentary Committee) সামনে স্বাস্থ্য মন্ত্রক, আইসিএমআর এবং সরকারি তরফে টীকা তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয়। সেই উপস্থিতিতেই এই তথ্য সামনে এনেছেন তাঁরা। এর আগে আইসিএমআর করোনা টীকা কোভ্যাক্সিন (Covaccine) তৈরিতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। ১৫ অগাস্টের মধ্যে এই টীকা বাজারে ছাড়তে উদ্যোগ নিয়েছিল তারা। যত দ্রুত সম্ভব হিউম্যান ট্রায়াল শেষ করার নির্দেশ টীকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) কাছে গিয়েছিল। সে নিয়ে শুরু হয় হৈচৈ। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তোলেন, "এত তাড়াহুড়ো করে বাজারে ভ্যাক্সিন ছাড়ার উদ্যোগ কেন?" বিরোধীদের তরফে সমালোচনা করা হয়। এই চাপের মুখে পড়ে ভোল বদলায় আইসিএমআর। তারাও ফের ঘোষণা করা আগামি বছরের আগে করোনা টীকা বাজারে আনা সম্ভব নয়।

এদিকে, শুক্রবারের বৈঠকে সংসদীয় কমিটির কাছে আশাপ্রকাশ করেছে সংক্রমিত রোগ ও ওষুধ তৈরির কারখানা ভারত। এই সঙ্কটের সময়েও তারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। তাদের দাবি, "বিশ্বের চাহিদা মেনে সংক্রমিত রোগের প্রায় ৬০% ভ্যাক্সিন তৈরি করে ভারত। আমাদের আশা এবারেও পথিকৃৎ হবে দেশ।"

অপরদিকে, ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে করোনা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শুক্রবার সকালে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬,০০০ এরও বেশি মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ভারতে এই মারণ ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছলো ৭,৯৩,৮০২ জনে। এখনও পর্যন্ত এদেশে মোট ২১,৬০৪ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা ভাইরাস, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭৫ জনের মৃত্যু। পরিসংখ্যান বলছে, একদিনের মধ্যে রেকর্ড ২৬,৫০৬ জনের শরীরে বাসা বেঁধেছে কোভিড- ১৯। দেশের মধ্যে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই করোনা আক্রান্তের বিচারে তালিকায় পরপর রয়েছে তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশ হলো ভারত। 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের মন্ত্রীরাই মানছেন না লকডাউন: দিলীপ ঘোষ

Advertisement

তবে চিকিৎসা সহায়তায় এদেশে বহু করোনা রোগীই সুস্থ হয়ে উঠছেন। সরকারি তথ্য মতে, সারা দেশে মোট ৪,৯৫,৫১৩ জন রোগী করোনার সঙ্গে লড়াই করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন। ভারতে এই পুনরুদ্ধারের হার এখন ৬২.৪২ শতাংশ।

করোনা থেকে বেশি বয়সীরা সাবধান! পরিসংখ্যান মতে ৮৫% কোভিড রোগীই ৪৫ ঊর্ধ্ব

Advertisement

এদিকে একে তো মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণই নেই, তার মধ্যে আবার কোভিড- ১৯ এর চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা নেওয়া রেমডিসিভির এবং টোকিলিজুমাবের মতো ওষুধ সেভাবে মিলছে না। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘাটতি মেটাতে তাঁরা সবরকম চেষ্টা করছে। এদিকে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আরও ৬,৮৭৫ জন, ফলে সেরাজ্যে এই রোগে আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ২,৩০,৫৯৯ এ।

Advertisement