Read in English
This Article is From Apr 19, 2020

করোনা পরিস্থিতিতে জামিনের দাবিতে জ‌লপাইগুড়ির সংশোধনাগারে তাণ্ডব

বন্দিরা ভিতর থেকে জেলের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়। এরপর শুরু হয় পাথর ছোঁড়া। জেল চত্বরের সিসিটিভি ক্যামেরাও ভেঙে দেওয়া হয়।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

৫০ থেকে ৬০ জন বন্দি ওই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয়। (প্রতীকী)

Highlights

  • জামিনের দাবিতে জ‌লপাইগুড়ির সংশোধনাগারে বন্দিদের একাংশের তাণ্ডব
  • পাথর ছোঁড়ার পাশাপাশি ভেঙে দেওয়া হয় সিসিটিভি ক্যামেরাও
  • পরে জেল আধিকারিকদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে
জলপাইগুড়ি:

জলপাইগুড়ি সংশোধনাগারে (Jalpaiguri Correctional Home) বন্দিদের একাংশ সশস্ত্র বিক্ষোভ দেখাল শনিবার। তাদের দাবি, করোনা অতিমারির (Corona Pandemic) পরিস্থিতিতে তাদের জামিন দিতে হবে। সরকারি সূত্রে একথা জানানো হয়েছে। ওই সংশোধনাগারের আটটি ওয়ার্ডে ১,৪০০ বন্দি রয়েছে। তার মধ্যে ৫৫০ জনই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এক নির্দেশ দেখিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয় বলে জানা গিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুঁড়তে থাকে এবং ভাঙচুর জ্বালায় বলে জানা গিয়েছে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে ওই তাণ্ডব চলে বলে। বর্ষীয়ান কর্মীরা তাদের সঙ্গে কথা বলে নিরস্ত করলে তবে তারা শান্ত হয়। গত ২৩ মার্চ সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে সুপ্রিম কোর্ট উচ্চস্তরের কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেয়। সেই কমিটি প্যারোল বা অন্তর্বর্তী জামিনে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দিদের জামিনের বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে জানানো হয়। তবে সর্বাধিক সাত বছর সাজাপ্রাপ্তদেরই বিবেচনায় আনা হবে বলে জানানো হয় ওই নির্দেশে।

Coronavirus: কলকাতায় এবার করোনায় আক্রান্ত ২১ মাসের শিশু

জলপাইগুড়ি সংশোধনাগারের মুখ্য শৃঙ্খলা আধিকারিক অসীম আচার্য জানাচ্ছেন, ৫০ থেকে ৬০ জন বন্দি ওই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয়। গণ্ডগোল শুরু হয় শনিবার সকালে। তবে প্রাথমিক ভাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই জেল কর্তৃপক্ষ বন্দিদের শান্ত করতে পেরেছিলেন বলে ওই আধিকারিক জানান। তিনি বলেন, এরপর বন্দিদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার দেওয়া হয়।

Advertisement

কিন্তু দুপুর থেকে আবারও নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং বন্দিরা ভিতর থেকে জেলের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়। এরপর শুরু হয় পাথর ছোঁড়া। জেল চত্বরের সিসিটিভি ক্যামেরাও ভেঙে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে সাইরেন বাজিয়ে দেওয়া হয়। সেই শব্দে স্থানীয়রা সংশোধনাগার চত্বরে জড়ো হন। পরিস্থিতির সুবিধা নিয়ে কিছু বন্জি পালানোরও চেষ্টা করে।

ফি বাড়ানো চলবে না! বেসরকারি স্কুলগুলোকে বার্তা পাঠাচ্ছে রাজ্য সরকার

Advertisement

এরপর পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে র‌্যাফ নামানো হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চলে। এরপর পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট অভিষেক মোদি, সংশোধনাগারের সুপারিনটেন্ডেন্ট শমীক সরকার ও অন্যান্য সিনিয়র আধিকারিকরা বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেন।

বৈঠকের পরে বিক্ষোভ তুলে নেয় বন্দিরা। বিক্ষোভে কোনও পুলিশকর্মী আহত হননি বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ওই সংশোধনাগারের প্রায় ২০০ বন্দিকে এরই মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে প্যারোল বা জামিনে।

গত মাসে দমদম সংশোধনাগারে প্রবল অশান্তির খবর মিলেছিল। করোনা সংক্রমণের কারণে আপৎকালীন পরিস্থিতি বিচারে বন্দিদের সঙ্গে তাদের আত্মীয়দের দেখা করা বন্ধ করে দেওয়ার পরেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বন্দিরা।

Advertisement