Coronavirus :দেশের বহু স্থানেই ঘটেছে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে হামলার ঘটনা।
নয়াদিল্লি: ‘করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চিকিৎসা কর্মী ও পুলিশ কর্মীদের পাশে না দাঁড়িয়ে অনেকেই তাঁদের বিরোধিতায় নেমেছেন। মানুষকে সাহায্য করতে এসে মানুষেরই উষ্মার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। বহু জায়গায় চিকিৎসক কিংবা সমীক্ষা করতে আসা দলকে জনতার ক্ষোভের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। একই অবস্থা আশা কর্মীদেরও। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে নাগপুরের আশা কর্মীরা জানাচ্ছেন, কীভাবে লোকের ঘরে ঘরে গিয়ে সমীক্ষা ও দেখাশোনার সময় বিপদে পড়তে হয় তাঁদের। ক্রুদ্ধ জনতা তাঁদের উদ্দেশে পাথর ছুড়ে মারছেন। আশা কর্মী ঊষা ঠাকুর জানাচ্ছেন, ‘‘যখন আমরা সমীক্ষার জন্য যাই, তখন লোকে আমাদের পাথর ছুড়ে মারে। গালাগালি দেয়। প্রশ্ন তোলে, আপনারা আমাদের বাড়িতে কেন এসেছেন? আমরা বোঝানোর চেষ্টা করি, আমরা সকলের ভালর জন্যই কাজ করছি। আপনারা আমাদের কেবল তথ্য দিন। আর আমরা কিছু চাই না আপনাদের থেকে।'' কেবল নাগপুর নয়, দেশের নানা প্রান্তেই এমন ঘটনার কথা জানা গিয়েছে।
কাল থেকে ব্রিটেনে শুরু মানুষের উপরে করোনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ
ইন্দোরের বিনোবা নগরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে হওয়া বিরোধের পরে স্বাস্থ্য বিভাগের এক দলের উপরে হামলা চালায় এক যুবক। মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে সে। চড় মারে এক কর্মীকে। পরে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভেঙেও দেয়। তারপর ছুরি হাতে চড়াও হয় প্রতিবেশীদের উপরে।
কেন্দ্রীয় দল পাঠানো নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে উত্তপ্ত চিঠি বিনিময়, নিয়ম মানার আশ্বাস দিল রাজ্য
বিহারের দারভাঙ্গা জেলার ভলপট্টি গ্রামেও আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা সমীক্ষা করতে এসে নিগ্রহের শিকার হন। এক যুবক একজন আশা কর্মীর শাড়িও ছিঁড়ে দেয়।
এদিকে মীরাটে এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ওই চিকিৎসককে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় প্রবল মারধর করা হয়। তিনি হাতে গুরুতর চোট পেয়েছেন।
মুরাদাবাদে এক সন্দেহজনক রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা। সেই সময় সেই দলের উপরে চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। কেবল তাঁদেরই নয়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশকেও নিগ্রহের শিকার হতে হয়। বহু মানুষ আহত হন ওই ঘটনায়।