This Article is From Apr 11, 2020

করোনার ছড়িয়ে পড়া রুখতে রাজ্যের ১০ টি অঞ্চলকে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করল সরকার

রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এলাকাগুলো হটস্পট চিহ্নিত করা হবে, সেখানে খাদ্যদ্রব্য-ওষুধ সামগ্রী থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়া হবে

করোনার ছড়িয়ে পড়া রুখতে রাজ্যের ১০ টি অঞ্চলকে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করল সরকার

Coronavirus: পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৮৯ জন

হাইলাইটস

  • করোনা সংক্রমণ রুখতে ভিলওয়াড়া মডেলকে অনুসরণ করছে রাজ্য
  • সংক্রমণ প্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সিল করে দেওয়ার ভাবনা
  • রাজ্যের যে অঞ্চলে করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে সেগুলোই সিল করার ভাবনা
কলকাতা:

করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তকে রুখতে পশ্চিমবঙ্গও কি এবার 'ভিলওয়াড়া মডেল' অনুসরণ করেই এগোতে চাইছে? রাজ্য (West Bengal) সরকারের তরফ থেকে এই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে এবার তারাও রাজস্থানের ভিলওয়াড়ার (Bhilwara) মতোই এখানকার কিছু সংক্রমণ প্রবণ এলাকাকে একেবারে সিল করে দিতে চলেছে। অর্থাৎ ওই অঞ্চলগুলোতে কোনও ব্যক্তি বাইরে যেতে বা আসতে পারবেন না। বরং প্রশাসনের তরফ থেকেই হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা এলাকাগুলোতে খাদ্যদ্রব্য-ওষুধ সামগ্রী থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়া হবে। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা শুক্রবার বলেন, "আতঙ্ক ও সামাজিক সমস্যা যাতে তৈরি না হয় তাই আলাদা করে আমরা ওই এলাকাগুলোর নাম উল্লেখ করছি না।" তিনি আরও যোগ করেন, "আমরা চেষ্টা করছি যাতে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা ওই এলাকাগুলো পুরোপুরি সিল করে দেওয়ার যাবতীয় পরিকাঠামো ও ব্যবস্থা ঠিক করে রাখার"।

সূত্রের খবর, ওই সংক্রমণ প্রবণ এলাকাগুলো হল কলকাতার কয়েকটি পুর অঞ্চল, উত্তরবঙ্গের কালিম্পং, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও নদিয়া সহ মোট সাতটি জেলা।

রাজ্যের যে জায়গাগুলো থেকে করোনা সংক্রমণের খবর মিলেছে সেই জায়গাগুলোকেই হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করে একেবারে সিল করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে কোনওভাবেই সংক্রমণ ওই এলাকা থেকে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে না পড়ে।

কী এই 'ভিলওয়াড়া মডেল'? গত ১৯ মার্চ রাজস্থানের ভিলওয়াড়াতে প্রথম করোনা সংক্রমণের মাত্র চারদিনের মধ্যে সেখানে ১৩ জন করোনা-পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন, আর ৩০ মার্চের মধ্যেই সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে যায় ২৭ এ। কিন্তু এরপরেই হঠাৎ ছবিটা বদলে যায়। পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয় সেখানকার সংক্রমণ প্রবণ এলাকাগুলো। ফলে তার পরবর্তী দশদিনে পুরো জেলায় আর মাত্র ১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন, অর্থাৎ সে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ২৮ জন, যার মধ্যে আবার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ জন।

এদিকে গোটা দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যে ১২ জনের দেহে নতুন করে ওই সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। ফলে ওই ১২ জনকে ধরে রাজ্যে এখন মোট সংক্রমিত ৮৯ জন। পাশাপাশি ৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে গত ২৪ ঘণ্টায়,  এই দাবি করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। তবে গত ৩৬ ঘণ্টায় মৃত্যুর কোনও খবর নেই। ফলে এই রাজ্যে সংক্রমণের জেরে মৃত সেই ৫ জন। এই সংক্রমণ বা মৃতের সংখ্যা যাতে আর না বাড়ে তার জন্যেই এবার সংক্রমণ প্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেই হটস্পটগুলোকে পুরোপুরি সিল করে দেওয়ার পথে হাঁটতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

.