This Article is From May 01, 2020

‘‘৪টি, ১০টি নয়’’: রাজ্যের ‘রেড জোন’ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের হিসেবের প্রতিবাদে জানাল রাজ্য সরকার  

নির্ধারিত চারটি জেলা ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, মালদাও ‘রেড জোন’-এর অন্তর্গত করা হয়েছে।

‘‘৪টি, ১০টি নয়’’: রাজ্যের ‘রেড জোন’ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের হিসেবের প্রতিবাদে জানাল রাজ্য সরকার  

রাজ্যের ২৩টি জেলার মধ্যে ১০টিকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

কলকাতা:

রাজ্যে ‘রেড জোন' (Red Zone) রয়েছে কেবল চারটি। শুক্রবার এমনই দাবি করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের (West Bengal) ২৩টি জেলার মধ্যে ১০টিকে ‘রেড জোন' ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর প্রতিবাদে রাজ্য সরকারের তরফে এমনই দাবি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ (COVID-19) সংক্রমণ প্রবল ভাবে ছড়িয়ে পড়লে সেই অঞ্চলগুলিকে ‘রেড জোন'-এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কেন্দ্রকে লেখা এক চিঠিতে রাজ্যের মুখ্য স্বাস্থ্য সচিব দাবি করেন, কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর— এই চারটি মাত্র ‘রেড জোন' রয়েছে রাজ্যে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক দেশের ১৩০টি ‘রেড জোন'-এর তালিকা প্রকাশ করেছে। দু'সপ্তাহ আগের তালিকা থেকে সংখ্যায় তা ৪০ কম। তবে ‘গ্রিন জোন'-এর সংখ্যাও কমেছে। ৩৫৬ থেকে কমে ৩১৯-এ নেমে এসেছে সংখ্যাটা। বেড়েছে দেশের ‘অরেঞ্জ জোন'-এর সংখ্যা। ২০৭ থেকে বেড়ে তা হয়েছে ২৮৪।

আরোগ্য সেতু অ্যাপ কি সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করা হবে? শুরু আলোচনা

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, রাজ্য নির্ধারিত চারটি জেলা ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, মালদাও ‘রেড জোন'-এর অন্তর্গত রয়েছে।

শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায়, এর আগে হটস্পট/ রেড জোন, অরেঞ্জ জোন এবং গ্রিন জোন নির্দারিত করা হয়েছিল বিভিন্ন এলাকার সংক্রমণের হিসেব ও সংক্রমণ দ্বিগুণ হওয়ার হিসেবের উপরে ভিত্তি করে। সুস্থতার হার বাড়তে শুরু করার পর আবার নতুন করে জেলাগুলিকে ভাগ করা হচ্ছে। জানানো হয়েছে, বিবিধ বিষয়ের দিকে নজর রাখা হয়েছে ‘জোন' ভাগের সময়।

সুখবর! গত ২ সপ্তাহে করোনা হটস্পটের এলাকা ক্রমশই কমছে, জানাল সরকার

একটি জেলাকে ‘গ্রিন জোন' তখনই বলা হবে যখন সেখানে গত ২১ দিন ধরে কোন করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। এই নতুন হিসেবকে ‘ভ্রান্তিকর' বলে দাবি করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে কেন্দ্রের দাবি, বহু রাজ্যই তাদের নানা জেলাকে ‘রেড জোন' হিসেবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। কিন্তু এই তালিকা গতিময়। তা সাপ্তাহিক বা তারও কম সময়ে পুনর্ববিবেচিত হয়।

করোনা সঙ্কটকে কেন্দ্র করে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে সংঘাত সাম্প্রতিক সময়ে বারবারই সামনে এসেছে। রাজ্যের তরফে বারবার যথেষ্ট পরিমাণে টেস্ট কিট না পাঠানোর অভিযোগ জানানো হয়েছে। এদিকে কেন্দ্র অভিযোগ জানিয়েছে, রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পরীক্ষা হচ্ছে না। পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্য চেপে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ কেন্দ্রের।

.