West Bengal: দৈনিক প্রায় ৩.২৫ লক্ষ করে গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে (প্রতীকী চিত্র)
হাইলাইটস
- রাজ্যে রান্নার গ্যাসের বুকিংয়ের পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে
- ৩০ শতাংশ বেড়েছে বুকিংয়ের পরিমাণ
- যথেষ্ট সিলিন্ডার মজুত আছে, আশ্বাস গ্যাস সরবরাহ সংস্থার
কলকাতা: যেভাবে গোটা দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ঠিক সেইভাবেই বাড়ছে লোকজনের মধ্যে আতঙ্কও। লকডাউনের জেরে প্রায় গৃহবন্দি রাজ্য তথা গোটা দেশের মানুষ। আপাতত ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা চলবে। তাই ঘরে খাদ্য সামগ্রী মজুত রাখতে চাইছেন সবাই। এমনকী, ঘরে যাতে যথেষ্ট রান্নার গ্যাসও থাকে তার জন্যে রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বুক করছেন অসংখ্য মানুষ। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে গ্যাস সিলিন্ডার বুকিংয়ের পরিমাণ। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এলপিজি সিলিন্ডারের চাহিদা বাড়ায় দৈনিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে রান্নার গ্যাসের (LPG cylinders) চাহিদা, জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের (Indian Oil Corporation IOC) এক আধিকারিক। তিনি বলেন, "গত এক সপ্তাহে এলপিজি সিলিন্ডারের চাহিদা বেড়েছে ৩০ শতাংশ।"
দেশে আরও ১৪৯ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলল, মোট আক্রান্ত ৮৭৩ জন, মৃত ১৯
পাশাপাশি তিনি একথাও জানান যে রাজ্যে (West Bengal) যথেষ্ট গ্যাস সিলিন্ডার মজুত আছে। তাই রাজ্যের মানুষ যাতে অযথা আতঙ্কিত হয়ে বুকিং না করেন সেই বিষয়েও আবেদন জানান তিনি। আগে যেখানে পশ্চিমবঙ্গে ২.৫ মিলিয়ন বুকিং হতো, সেখানে সেই বুকিংয়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.২৫ লক্ষ, জানিয়েছে ওই সংস্থা।
"আতঙ্কের কারণে এই হারে গ্যাস সিলিন্ডার বুকিং করা বন্ধ না করা হলে সরবরাহ রক্ষণাবেক্ষণ করা অত্যন্ত কঠিন হবে," তিনি আরও যোগ করেন।
এদিকে গ্রাহকদের অভিযোগ গ্যাস সিলিন্ডার বুক করলেও সিলিন্ডার পেতে দেরি হচ্ছে তাদের। অধিকাংশ জায়গায় গিয়ে দেখা যাচ্ছে কোথাও দোকান বন্ধ, তো কোথাও আবার গ্যাস ডেলিভারি করার বয় নেই। সংস্থার তরফ থেকে বলা হচ্ছে, ডেলিভারি বয়রা কাজে যোগ দিতে পারছেন না। আর গ্রাহকদের কিছু করার নেই কারণ গাড়ি বন্ধ থাকার কারণে তারা সিলিন্ডার নিজেরা নিয়ে আসতে পারছেন না। বিশেষ করে সমস্যায় পড়ছেন মহিলা আর প্রবীণ মানুষেরা। যারা নিজেরা এই পরিস্থিতিতে দোকানে গিয়ে সিলিন্ডার আনার কথা ভেবেছিলেন, তারাও পুলিশি টহলের ভয়ে শেষ পর্যন্ত নিয়ে আসার সাহস দেখাতে পারেননি।
"ভাইরাস ছড়াও", সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করে গ্রেফতার ইনফোসিস কর্মী, বরখাস্ত করল কর্মসংস্থাও
২১ দিনের লকডাউনের মধ্যেই দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আরও ১৪৯ জন নতুন COVID-19 আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। ফলে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে এখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৮৭৩ জন, এর মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এই মারণ রোগে।