Coronavirus: যে জায়গাগুলো করোনা হটস্পট সেখানেই এই অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় তৎপরতা
হাইলাইটস
- রাজ্যে কোথায় কোথায় করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে তা জানতে পুল টেস্টে জোর
- আইসিএমআরের পরামর্শ মেনেই ওই পুল টেস্ট শুরু করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার
- উপসর্গবিহীন সর্বোচ্চ পাঁচ জনের শরীরের নমুনা নিয়ে করা হবে পুল টেস্ট
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ সরকার COVID-19 রোগীদের শনাক্ত করার জন্যে দ্রুতগতিতে অ্যান্টিবডি টেস্ট (Bengal Rapid Antibody Test) এবং পুল টেস্ট শুরু করবে। পুল টেস্টের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের (West Bengal Coronavirus) জন্যে গণ পরীক্ষা অনেক কম খরচে করা যায়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) উপসর্গবিহীন সর্বোচ্চ পাঁচ জনের শরীরের নমুনা এক সঙ্গে নিয়ে করা যায় পুল টেস্ট। দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬.০০০ ছাড়িয়ে যাওয়ায় রাজ্যেও গণ পরীক্ষা করার জন্যে তৎপরতা শুরু হয়েছে। রবিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্রুতগতিতে অ্যান্টিবডি টেস্ট করার জন্যে মোট ১০,০০০ কিট হাতে পেয়েছে, জানিয়েছেন এক সরকারি আধিকারিক। "আমরা এই জাতীয় পরীক্ষা চালানোর জন্যে ১০,০০০ কিট পেয়েছি ... এগুলো আইসিএমআর-এর নির্দেশিকা অনুসরণ করে দ্রুত অ্যান্টিবডি পরীক্ষা শুরু করতে আমাদের সাহায্য করবে", সংবাদসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে জানান ওই আধিকারিক। বিশেষত যে জায়গাগুলো করোনা হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে সেখানেই এই অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় জোর দেওয়া হবে, জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
আইসিএমআর নিম্নমানের "টেস্টিং কিট" পাঠানোয় রাজ্যে করোনা পরীক্ষায় বিলম্ব!
"কড়া নজরদারির মধ্যে এই পরীক্ষা করা হবে এবং এ বিষয়ে রাজ্যের জেলাগুলিতে যে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলি আছে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে", এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সরকার। "কোনওরকম ভাবে যাতে অযথা আতঙ্ক না ছড়িয়ে পড়ে তাই দেখতে ওই পরীক্ষার ফলাফল তৎক্ষণাৎ প্রকাশ করা হবে না এবং আইসিএমআরের পরামর্শ অনুযায়ীই এগোনো হবে", একথাও বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
"করোনা নেগেটিভ হলেই ভর্তি মুসলিম রোগী", নার্সিংহোমের বিজ্ঞাপনে বিতর্ক
ভারতের মতো জনবহুল দেশে প্রত্যেকের নমুনা পরীক্ষার পরিকাঠামো না থাকায় গত ১৪ এপ্রিল এই পুল টেস্টিংয়ের পরামর্শ দেয় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ। সব রাজ্যকে বলে, জনে-জনে শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আলাদা করে পরীক্ষা না করে একই কালচার-পটে অনেকের নমুনা মিলিয়ে সেই মিশ্র-নমুনা পরীক্ষা করা হোক। মিশ্র-নমুনার ফল নেগেটিভ এলে ওই দলের কেউ যে সংক্রমিত নন, তা নিশ্চিত হবে। আর যদি মিশ্র-নমুনার ফল পজিটিভ আসে, তখন প্রত্যেকের শরীর থেকে আলাদা আলাদা করে ফের নমুনা নিয়ে তা পরীক্ষা করে চিহ্নিত করতে হবে কে বা কারা আক্রান্ত।