নিয়ন্ত্রিত হারে রেড জোনে কয়েকটি কর্মকাণ্ডে ছাড় রয়েছে।
নয়া দিল্লি:
ফের দু'সপ্তাহ বাড়ল লকডাউন মেয়াদ। তৃতীয় দফার এই লকডাউন চলবে আগামী ১৮ মে পর্যন্ত। শুক্রবার স্পষ্ট করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যাওয়াতে ৪-১৮ মে বাড়ানো হয়েছে এই লকডাউন। এই মর্মে নতুন গাইডলাইন লাগু করেছে কেন্দ্র।
তৃতীয় দফার লকডাউন, দেখে নিন কেন্দ্রের নতুন গাইডলাইন ১০ পয়েন্টে:
জেলাগুলোতে যদি একটি বা তার বেশি পুরসভা থাকে, তাহলে তাকে দুটো জোনে ভাগ করা হবে। পুর এলাকার আওতাধীন একটা জোন আর পুর এলাকার বাইরে একটা জোন। পুর এলাকার বাইরে যে জোনে, সেখানে যদি ২১ দিনের মধ্যে কোনও সংক্রমণ ধরা না পড়ে, তাহলে সেই জেলা সংক্রমিত জেলার থেকে একধাপ ঝুঁকিহীন জেলায় রূপান্তরিত হবে।
কন্টেইনমেন্ট এলাকা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন নিশ্চিত করবে। মোট সংক্রমিতের বিচারে সেই এলাকা চিহ্নিত করা হবে। সেই কন্টেইনমেন্ট এলাকাকে ১০০% আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশনের আওতাধীন করতে হবে
জোন ভেদে দেশব্যাপী বাছাই করা কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধই থাকবে। সেই তালিকায় আছে বিমান, রেল, মেট্রো চলাচল। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাতায়াত। স্কুল-কলেজের পঠনপাঠন, হোটেল ও রেস্তোরাঁ পরিষেবা। গণ জমায়েতস্থল, ধর্মীয় জমায়েতের মতো কর্মকাণ্ড। তবে আকাশ, সড়ক বা রেলে পথে যাতায়াত গুরুত্ব বিচারে করতে দেওয়া হবে। সরকারি অনুমোদন থাকলেই এই যাতায়াত সম্ভব
লকডাউন চলাকালীন নাগরিকদের গতিবিধি সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত থাকবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসন গতিবিধি বাঁধতে ১৪৪ ধারার মতো বিশেষ আইন লাগু করতে পারবে। ৬৫ বছরের ওপর প্রবীণ নাগরিক, ১০ বছরে নীচে শিশু আর সন্তানসম্ভবা মহিলাদের ঘরেই থাকতে হবে। অ-অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জন্য নিষিদ্ধ বাইরে বেরনো। তবে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে এই বিধি লাগু নয়। সব জোনেই খোলা থাকবে হাসপাতালের ও স্থানীয় ক্লিনিকের বহির্বিভাগ
রেড জোনে, কন্টেইনমেন্ট এলাকার বাইরে নিষিদ্ধ থাকবে গতিবিধি। যেভাবে গোটা দেশে কিছু কিছু গতিবিধি নিষিদ্ধ। যেমন অটো, টোটো, আন্তঃজেলা বাস পরিষেবা বন্ধ। বন্ধ থাকবে সেলুন বা স্পা। এবং অন্য গণপরিবহণ পরিষেবাও নামবে না পথে।
রেড জোনে নিয়ন্ত্রিত হবে ব্যাক্তিগত গতিবিধি। চার চাকার যানে দু'জন সওয়ার হতে পারবেন। ড্রাইভারকে নিয়ে তিন জন। দু'চাকার যানে নেওয়া যাবে না সওয়ারি।শহর অঞ্চলের বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে যেমন সেজ, রফতানি ক্ষেত্র, বাণিজ্যিক এস্টেট, বাণিজ্যিক টাউনশিপে থাকবে নিয়ন্ত্রিত গতিবিধি
অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের উৎপাদন-সহ ওষুধ, মেডিক্যাল যন্ত্রাদি কাঁচা মালের জোগান চালু থাকবে।
শহর এলাকায় নির্মাণ কাজ নিয়ন্ত্রিত থাকবে। স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে করাতে হবে সেই কাজ। বাইরে থেকে শ্রমিক আনা চলবে না।
পাশাপাশি রেড জোনে আরও কিছু উৎপাদনে ছাড় দেওয়া হবে। গ্রামীণ এলাকায় শিল্প ও নির্মাণকর্ম। মনরেগার কাজ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ইটভাটা প্রমুখ। শহর এলাকায় সংবাদ পত্র, বৈদ্যুতিন মাধ্যম চালু থাকবে
এর পাশাপাশি অরেঞ্জ জোনে ট্যাক্সি ও অন্য পরিবহণ নিয়ন্ত্রিত ভাবে চলতে পারবে। গ্রিন জোনেও অবাধ বিচরণে থাকবে রাশ। ৫০% যাত্রী নিয়ে চলবে বাস আর কর্মী সংখ্যাও থাকবে ৫০%
Post a comment