উহান থেকে আসা যাত্রীদের ‘স্ক্রিনিং’ বা পরীক্ষা করা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে।
নয়াদিল্লি:
চিন (China) থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন ভাইরাস (New China Virus) ঘিরে ক্রমেই ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। সার্স ভাইরাসের মতো এই ভাইরাসের কবলে এরই মধ্যে পড়তে হয়েছে প্রায় ৫৭০ জনকে। অধিকাংশই উহানের বাসিন্দা। মারা গিয়েছেন ১৭ জন। ভারতও এই অসুখের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ও সতর্ক। যদিও এখনও পর্যন্ত ভারতে এই অসুখে কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি, চেন্নাই সহ সাতটি বিমানবন্দরে ৪৩টি উড়ান ও ৯,০০০ জন যাত্রীকে পরীক্ষা করে দেখা হবে।
নয়া ভাইরাসের ১০ তথ্য:
চিনের উহান শহর থেকেই ছড়িয়েছে এই অসুখ। সেখানে চলছে কড়া নজরদারি। সমস্ত বহির্গামী উড়ান, ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বিশেষ কারণ না থাকলে কাউকে শহর ছাড়তে মানা করা হয়েছে।
উহানে ঠিক কতজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সেই সংখ্যাটা ৪,০০০ হতে পারে। সরকারি হিসেবে যা বলছে তার দশ গুণ! ‘ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন'-এর বিজ্ঞানীরা তেমনটাই মনে করছেন।
তাইল্যান্ডে এই অসুখে চারজন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, তাইওয়ান ও আমেরিকায় একজন করে আক্রান্ত খবর পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্তদের প্রত্যেকেই হয় উহানের বাসিন্দা অথবা সম্প্রতি সেখানে গিয়েছিলেন।
উহান থেকে আসা যাত্রীদের ‘স্ক্রিনিং' বা পরীক্ষা করা হচ্ছে আমেরিকা, ব্রিটেন, জাপান, তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া প্রভৃতি দেশে। রাশিয়াও পরিচ্ছন্নতা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নজর দিয়েছে।
ভারতেও কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ ও কোটি বিমানবন্দরে চিন থেকে আগত ব্যক্তিদের পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। চিনের ভারতীয় দূতাবাস থেকে নিয়মিত স্বাস্থ্য মন্ত্রককে রোগের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে, সপ্তাহ ব্যাপী চিনের চান্দ্র নববর্ষ উদযাপনের সময় বিপুল সংখ্যক মানুষের চিনে আসা বা চিন থেকে বাইরে যাওয়ার কারণে এই অসুখ আরও দ্রুত ছড়াতে পারে।
করোনা ভাইরাসটির নাম 2019-nCoV। সার্স ভাইরাসের মতোই ক্ষমতা এই ভাইরাসের। প্রসঙ্গত, ২০০২-০৩ সালে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিনে ৩৪৯ জন ও হংকংয়ের ২৯৯ জন মারা যান।
ভাইরাসটিকে পরীক্ষা করে মনে করা হচ্ছে, করোনা ভাইরাসের উৎস হতে পারে বাদুড় ও সাপ। বেজিংয়ের ‘চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স' তেমনটাই মনে করছে।
আক্রান্তদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলা ফুলে যাওয়া কিংবা সর্দির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে সার্স আক্রান্তদের মতোই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই অসুখের প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা সমস্ত হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে।
দেখুন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বিশেষজ্ঞের মতামত:
Post a comment