সোমবার থেকে শুরু হল করোনা ভ্যাক্সিনের হিউম্যান ট্রায়ালের প্রথম ধাপ: এইমস
নয়াদিল্লি: ভারত বায়োটেক আর আইসিএমআর-এর তোর উদ্যোগে তৈরি কোভ্যাক্সিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করল দিল্লি এইমস। সোমবার থেকে প্রথম দফার ট্রায়াল শুরু হল। অন্তত তিনমাস লাগবে প্রাথমিক রিপোর্ট পেতে। এদিন জানিয়েছেন এইমস অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া। ঘটনাচক্রে আবার এদিন ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক সংক্রমণ দেশে। প্রায় ৪০ হাজার সংক্রমিত। এই সংক্রমণ ধরলে ভারতে মোট সংক্রমিত ১১ হাজার ছাড়ালো। সোমবার চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, "এই ভ্যাক্সিনের হিউম্যান ট্রায়ালে পৃথক উৎসাহ আছে। কারণ এটা দেশে তৈরি। যদিও অন্য কোনও দেশ এই ভ্যাক্সিন তৈরি করলেও গণউৎপাদনে ভারত প্রথমসারিতে থাকত।" তিনি বলেছেন, "প্রায় ১১২৫ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবকের দেহে সার্স-কোভ-২ কে নিষ্ক্রিয় ভাবে ইনজেক্ট করা হবে। এতে তাঁদের দেহ ভাইরাস-প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি উৎপাদন করতে পারবে। প্রথম ধাপে ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবককে ব্যবহার করা হয়েছে। এদের বয়স ১৮-৫৫। দ্বিতীয় ধাপে ৭৫০ জনকে ব্যবহার করা হবে। এদের বয়স ১২-৬৫। কারও কো-মর্বিডিটি নেই। তৃতীয় তথা শেষ ধাপে আরও বেশি সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ট্রায়ালের অংশ হবেন।"
এইমসের মেডিসিন বিভাগের প্রধান সঞ্জয় রাই বলেছেন, "পুরুষ ও মহিলা প্রত্যেকেই স্বাগত। তবে মহিলাদের সন্তান সম্ভবা হলে চলবে না।" তাঁর দাবি, নিরাপত্তা আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য। তাই ভাইরাস কীভাবে মিউটেট করছে, তার ওপর টীকার কার্যকাল নির্ভর করছে। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগে একাধিক টিকাকরণ প্রয়োজন। কারণ ঘনঘন সেই ভাইরাস মিউটেট করে। কিন্তু কোভিড-১৯-এ সেই লক্ষ্মণ চোখে পড়েনি।
ভারত বায়োটেকের তত্ত্বাবধানে তৈরি কোভ্যাক্সিনের হিউম্যান ট্রায়ালে রবিবার সায় দিয়েছিল এইমসের এথিক্স কমিটি। সোমবার থেকে এই টীকার প্রাথমিক ধাপের ট্রায়াল শুরু হবে। সেদিন জানিয়েছিল এই প্রতিষ্ঠান। আইসিএমআর ১২টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করেছে এই ট্রায়ালের জন্য। সেই তালিকায় নাম আছে এইমসের। এই ১২টি প্রতিষ্ঠানে ধাপ-১ ও ধাপ-২-এর ট্রায়াল চলবে। প্রথম ধাপে ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে এই টীকা প্রয়োগ করা হবে। এদের মধ্যে ১০০ জন এইমসের। এই ট্রায়াল প্রসঙ্গে এইমসের চিকিৎসক সঞ্জয় রাই বলেন, "এইমস এথিক্স কমিটি হিউম্যান ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে। স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবক, বয়স ১৮-৫৫-এর মধ্যে অংশ নিতে পারবেন। তবে, কোমর্বিডিটি কিংবা আগে সংক্রমিত হলে চলবে না।"
তিনি জানান, কিছু স্বেচ্ছাসেবক নাম নথিভুক্ত করেছেন। আমরা সোমবার থেকে তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখবো। টীকা প্রয়োগের আগে শারীরিক পরিস্থিতি যাচাই করবো।