This Article is From Apr 13, 2020

সাধ্যের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার বহর বাড়াতে পুল টেস্টের সুপারিশ দিল আইসিএমআর

জানা গিয়েছে, এই ধরনের একটা পরীক্ষা লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে করা হয়েছিল

সাধ্যের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার বহর বাড়াতে পুল টেস্টের সুপারিশ দিল আইসিএমআর

এই ধরনের একটা পরীক্ষা লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে করা হয়েছিল। (প্রতীকী)

নয়া দিল্লি:

সাধ্যের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার বহর বাড়াতে নতুন প্রস্তাব দিল আইসিএমআর (ICMR)। কেন্দ্রীয় এই সংস্থার গাইডলাইন মেনেই দেশব্যাপী সংক্রমিতদের নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুল টেস্টের  মাধ্যমে কম খরচে করা যাবে অনেকের নমুনা পরীক্ষা। ৫ জনের একটা গ্রুপ প্রতি পুলের আওতাধীন থাকবে। এমনটাই প্রস্তাব আইসিএমআর-এর। সোমবার পর্যন্ত দেশে সংক্রমিতের (Corona) সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রতিদিন ৪০০-৫০০ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মিলছে। এমনটাই দাবি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। সেই মাত্রাকে মাথায় রেখে আইসিএমআর-এর প্রস্তাব, "পাঁচ জনের নমুনা একটা পুলের মাধমে পরীক্ষা করা হবে। তারপর সেই নমুনা পজিটিভ এলে পৃথক করে ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হবে।" তাদের যুক্তি, "একটা পুলের ৫-জনের নমুনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে সেই পুল হবে নেগেটিভ। এভাবে ক্রমে কমানো যাবে খরচের বহর, যখন একসঙ্গে অনেক পুলের রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে।"

পথে পড়ে থাকা দুধের ধারায় কুকুরের সঙ্গে ভাগ বসাল অসহায় মানুষ, দেখুন মর্মান্তিক ভিডিও

দেশের যে এলাকায় সংক্রমণের হার কম, সেখানে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে। এমনটাই ইঙ্গিত আইসিএমআর সুত্রে। তাদের দাবি, "যে এলাকায় ৫%-এর বেশি সংক্রমিত, সেই এলাকায় পরীক্ষার জন্য পৃথকভাবে নমুনা পাঠানো হবে।" জানা গিয়েছে, এই ধরনের একটা পরীক্ষা লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে করা হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রককে এই সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। জানিয়েছে আইসিএমআর। 

এদিকে, লকডাউনের মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন মোদি। বেশিরভাগ রাজ্যই ইতিমধ্যে লকডাউন বাড়াতেই পরামর্শ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। আগামী ৩০ এপ্রিল অবধি বাড়তে পারে লকডাউনের সময়সীমা। 

কেরলে কমছে আক্রান্তের সংখ্যা, কীভাবে পরিস্থিতি বদল

যদিও এই বর্ধিত লকডাউনের মধ্যে অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত নানা বিষয়গুলির পুনঃসূচনা করার উদ্যোগও তিনি নেবেন বলেই সূত্রের খবর। শনিবার ১৩ জন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী মোদি এই বিষয়ে একমত হয়েছিলেন যে অত্যন্ত সংক্রামক কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দীর্ঘতর লকডাউনের প্রয়োজন, তবে  জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের বিষয়েও কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি।

শিশুদের করোনা সংক্রমণ বাঁচাবেন কীভাবে, জানতে দেখুন নীচের ভিডিওটি: 

ভারতের অর্থনীতি ইতিমধ্যে গত ছয় বছরে সবচেয়ে ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে, লকডাউনের কারণে বেকারত্ব হার বেড়ে যাওয়ার ফলে তা আরও মারাত্মক আঘাত হানবে বলেই আশঙ্কা। এই নিষেধাজ্ঞার জেরে লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মানুষের হাতে কাজ নেই এবং ছোট ছোট দোকান ও শিল্পও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

.