The Editor's Guild has said that MJ Akbar should withdraw the defamation case against Priya Ramani
নিউ দিল্লি:
সাংবাদিক প্রিয়া রামানীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন এম জে। সেই আবেদনের শুনানি হবে । এ মাসের 31 তারিখ নিজের বয়ান নথিভুক্ত করাতে হবে এমজে-কে। আজ এমনই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির আদালত। তবে সে সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না এম জে। বেশ কয়েক জন মহিলা সাংবাদিকের তোলা যৌন হেনস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। এরপর ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এম জে।
রইল দশটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
এম জে আকবরের আইনজীবী বলেন, প্রিইয়া রামানির বক্তব্যে আকবরের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। চার দশক ধরে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন এম জে। সেটা এখন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রিয়ার ওই টুইটে 1200 লাইক পড়েছে। রিটুইট করেছেন আরও 200 জন। এর থেকেই বোঝা যায় বিষয়টি কতটা ছড়িয়েছে।
বিচারক সমর বিশাল জানিয়েছেন এই মামলা শোনার যথেষ্ট কারণ আছে। আর তাই 31 অক্টোবর নিজের বক্তব্য রেকর্ড করাতে হবে এম জে-কে।
দেশে ফিরে এম জে বলেন আমার বিরুদ্ধে তোলা অশালীন আচরণের অভিযোগ মিথ্যা। বিদেশে থাকায় আমি আগে জবাব দিতে পারিনি। কোনও প্রমাণ ছাড়া মিথ্যা অভিযোগ করা এখন কিছু মানুষের মধ্যে সংক্রমণের মতো ছড়িয়েছে। কিন্তু এখন আমি দেশে ফিরে এসেছি। এবার আমার আইনজীবীরা যা করার করবেন। আর কয়েক মাস বাদে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এমন অভিযোগ উঠল কেন? এর নেপথ্যে কোনও কারণ আছে কি? উত্তর আপনারাই দেবেন। এই সমস্ত অভিযোগ আমার ভাবমূর্তিকে নষ্ট করেছে। মিথ্যার হাত পা হয় না কিন্তু তাঁর মধ্যে বিষ থাকে। এই অভিযোগ হতাশা ব্যঞ্জক।
এম জে আকবর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগকে দমানোর চেষ্টা করছেন। যাঁরা এম জে-র বিরুদ্ধে বলেছেন তাঁরা জানেন তাঁদের অনেক রকম ক্ষতি হতে পারে। তবু সত্যের পক্ষে সওয়াল করছেন। সত্যি আর শুধু সত্যি ছাড়া আমার কিছু নেই।
আকবরের সঙ্গে এশিয়ান এজ কাগজে কাজ করা 19 জন মহিলা সাংবাদিক প্রিয়া রামানির পাশে দাঁড়িয়েছেন। আদালতে তাঁরা নিজেদের বক্তব্য জানাবেন।
প্রিয়া সহ এই 20 জন মহিলা সাংবাদিকের পাশে দাঁড়িয়েছে এডিটার্স গিল্ড।
মোদী মন্ত্রিসভা থেকে আকবরের আগে কেউ ইস্তফা দেননি। নিজের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে আকবর বলেন,ব্যক্তিগত ভাবে সুবিচারের আশায় দালতে মামলা করেছি। তাই এখন পদে থাকা ঠিক নয়।
দ্য টেলিগ্রাফ, এশিয়ন এজের মতো কাগজের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসা আকবরে বিরুদ্ধে প্রিয়া রামানি যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন।
প্রিয়া রামানির পর প্রেরণা সিং বিন্দ্রা, ঘাজালা ওয়াহাব, সুতপা পাল, অঞ্জু ভারতী, শুমা রাহা মালিনী ভুপ্তার মতো সাংবাদিকরাও নিজেদের কথা জানিয়েছেন।
মিটু Me too –র ঝড় প্রথম আছড়ে পড়ে আমেরিকায়। সেটা বছর খানেক আগের কথা। আর এদেশে তনুশ্রী দত্তকে দিয়ে শুরু হয়েছে মিটু আন্দোলন।
Post a comment