Read in English
This Article is From Jun 30, 2020

মানুষের দেহে ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত ভারতের প্রথম সম্ভাব্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন COVAXIN

COVAXIN একটি নিষ্ক্রিয় ভ্যাকসিন যা সংক্রামক SARS-CoV-2 ভাইরাসের স্ট্রেন থেকে তৈরি। গবেষণায় এই ভ্যাকসিন সুরক্ষা এবং কার্যকরী প্রতিরোধে যথেষ্ট প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by
নয়াদিল্লি:

জুলাই মাসে দেশজুড়ে শুরু হতে চলেছে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল। একটি সম্ভাব্য COVID-19 ভ্যাকসিন COVAXIN-এর প্রথম পর্যায় ও দ্বিতীয় পর্যায়ের মানুষের দেহে পরীক্ষার জন্য DCGI-কে (ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইসিএমআরের (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ) সহযোগিতায় হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের তৈরি করা কোভ্যাক্সিন একটি নিষ্ক্রিয় ভ্যাকসিন যা সংক্রামক SARS-CoV-2 ভাইরাসের স্ট্রেন থেকে তৈরি। গবেষণায় এই ভ্যাকসিন সুরক্ষা এবং কার্যকরী প্রতিরোধে যথেষ্ট প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে ওষুধ প্রস্তুতকারীরা এই নোবেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য চেষ্টা করছেন। এটি এমন এক ভাইরাস যা আগে কখনও মানুষের মধ্যে শনাক্ত করা যায়নি। ফলত ভ্যাকসিন তৈরির কাজটি আরও শক্ত হয়ে উঠছে।

ভ্যাকসিন এবং জেনেরিক ওষুধের অন্যতম সেরা নির্মাতা ভারত এই দৌড়ে মূল ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে, দেশের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ওষুধ তৈরির কাজ করছে।

Advertisement

মে মাসে সরকার জানিয়েছিল যে প্রায় ৩০ টি দল একটি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। সরকারের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বলেন, যে ভ্যাকসিন তৈরির প্রচেষ্টা সাধারণত ১৫ বছর সময় নেয় এবং ১২ মাসের জন্য ইতিমধ্যেই ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হচ্ছে।

একই ধরণের প্রচেষ্টা ট্রায়ালের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ওষুধ নিয়ে সারা বিশ্ব জুড়ে চলছে। গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছিল যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন সম্ভবত তালিকায় সবার আগে ছিল। ব্রিটিশ সংস্থাটি ইতিমধ্যেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি ওষুধের বৃহত্তর তথা মধ্য-পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করেছে।

Advertisement

অন্যান্য সম্ভাব্য ভ্যাকসিনগুলির মধ্যে রয়েছে আমেরিকান সংস্থা মোডেরনার ভ্যাকসিন, যা জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল পরীক্ষায় যেতে পারে।

গত মাসের গোড়ার দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বায়োফর্মাসিউটিক্যাল ফার্ম গিলিয়েড সায়েন্সেস আইএনসি জানিয়েছে যে এর অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভিরের পাঁচ দিনের কোর্সে মাঝারি কোভিড-১৯ লক্ষণযুক্ত রোগীদের জন্য সামান্য উপকার দেখা গিয়েছে।

Advertisement

এই ওষুধটিতেই প্রথম আনুষ্ঠানিক ক্লিনিকাল ট্রায়ালে কোভিড-১৯ রোগীর অবস্থার উন্নতি পরিলক্ষিত হয়।

যেহেতু বড় বড় সংস্থাগুলি ভ্যাকসিন আবিষ্কারের বিষয়ে কাজ করছে, যার অর্থ লক্ষ কোটি টাকার মুনাফা এবং কয়েক কোটি মানুষের জীবন রক্ষা, তাই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে প্রাথমিক ভ্যাকসিনগুলির ক্ষেত্রে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা থেকেই যাবে।

Advertisement

মহামারীর কারণে ভারতে ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষের। চতুর্থ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ ভারতে প্রায় ৫.৫ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত।

Advertisement