This Article is From Mar 26, 2020

লকডাউন ভেঙে আড্ডা-জমায়েত কোথায়? পুলিশকে চিনিয়ে দিচ্ছে হাম রেডিও

পুলিশের পক্ষে একটা শহরের প্রতি কোণা নজরে রাখা সম্ভব না। অভিযোগ, সেই ফাঁক গলে রাজ্যের একাধিক জায়গায় চলছে অবাধে গণজমায়েত

লকডাউন ভেঙে আড্ডা-জমায়েত কোথায়? পুলিশকে চিনিয়ে দিচ্ছে হাম রেডিও

লকডাউন ভেঙে এ রাজ্যে জমায়েত কোথায়? পুলিশকে দেখিয়ে দিচ্ছে হ্যাম রেডিও। (ফাইল ছবি)

কলকাতা:

পুলিশের পক্ষে একটা শহরের প্রতি কোণা নজরে রাখা সম্ভব না। অভিযোগ, সেই ফাঁক গলে রাজ্যের একাধিক জায়গায় চলছে অবাধে গণজমায়েত। আর সেই ফাঁক বুজিয়ে জমায়েতস্থল সম্বন্ধে পুলিশকে অবগত করে দিচ্ছে লকডাউন ভেঙে আড্ডা-জমায়েত কোথায়? পুলিশকে চিনিয়ে দিচ্ছে হাম রেডিও (Ham Radio)।পাশাপাশি  চিহ্নিত করে দিচ্ছে ভবঘুরেদে আস্তানাও। ফলে পুলিশের পক্ষে তাঁদের উদ্ধার করতে সুবিধা হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) একটা সূত্র। নবান্ন সূত্রে খবর, এই হাম রেডিও পুলিশের কাছে গণজমায়েতস্থলের তথ্য পাঠিয়ে দিচ্ছে। সেটা দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বলেছেন, হাম রেডিওর এই দিকনির্দেশ আমাদের সাহায্য করছে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে। কারা অপ্রয়োজনে লকডাউন ভাঙছে সেটা দেখেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন এই হাম রেডিওর বিশেষ লাইসেন্স আছে। যার ওপর ভিত্তি নির্দিষ্ট তরঙ্গমাত্রায় এই তল্লাশি অভিযান চালাতে পারে তারা। অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস, পশ্চিমবঙ্গের অ্যামেচার রেডিও ক্লাবের সম্পাদক, জানিয়েছেন, রাজ্যে মোট ২৮০টি হাম রেডিও সক্রিয়। যেগুলো গনজমায়েতস্থল চিহ্নিত করে দিচ্ছে। আর মাথায় ছাদ নেই এমন দুঃস্থদের চিহ্নিত করছে। 

ভিন রাজ্যে আটক বাংলার কর্মীদের সাহায্যের দাবি জানিয়ে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর

তিনি বলেন, "রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কথা বলেই আমরা একটা হেল্পলাইন নম্বর (২৫৬৩-৮৩৮৩) চালু করেছি। সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে আমাদের নেটওয়ার্ককে সক্রিয় করে গণজমায়েতস্থল চিহ্নিত করছি আমরা। পাশাপাশি দুঃস্থদের উদ্ধারে পুলিশকে বার্তা পাঠাচ্ছি।গোটা অভিযান চেন সিস্টেমে সমন্বয় তৈরি করে করা হচ্ছে।" বিস্তৃত ভাবে অম্বরীশ বাবু বলেছেন, একমাত্র দার্জিলিং বাদে প্রতি জেলায় ১০-১২ জন হাম রেডিও অপারেটর আছে। তাঁরা নিজস্ব নেটওয়ার্ক সক্রিয় করে গণ জমায়েত আর ভবঘুরেদের তথ্য তুলে আনতে পারছে। 

ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দূরত্ব একমিটার! বাজার পরিদর্শনে গিয়ে এঁকে বোঝালেন মুখ্যমন্ত্রী

কী সেই চেন সিস্টেম? অম্বরীশ বাবু সে ব্যাপারে বলেছেন, নেটওয়ার্ক থেকে পাওয়া তথ্য আমাদের রেডিও ক্লাবে পাঠান হচ্ছে। সেখান থেকে যাচ্ছে জেলা পুলিশের সদর দফতরে। জেলা পুলিশের সদর দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ পেট্রলিং গাড়িতে পাঠান হচ্ছে সেই বার্তা। তারপরেই ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে মোট ৬০টি জমায়েতস্থল গোটা রাজ্যে চিহ্নিত করেছে হাম রেডিও। আর ১৭ জন ভবঘুরেকে উদ্ধারে সাহায্য করেছে। চলতি সপ্তাহেই উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের বাসিন্দা এক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করতে পুলিশকে দিশা দেখিয়েছে হাম রেডিও। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, আমাদের আরও বেশি করে মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগ নিতে হবে। এদিকে, সোমবার থেকে মোট ১৮০০ মানুষকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। লকডাউন উপেক্ষা করে অযথা পথে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)

.