কলকাতা: গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যে ১২৭ জন সংক্রমিত (Coronavirus In Bengal)। ১ মে সংক্রমিত ৫৭ জন আর ২ মে সংক্রমিত ৭০ জন। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে মোট ৪৮১১ জনের। বাড়েনি মৃতের সংখ্যা। রাজ্যে সংক্রমণের জেরে মোট মৃত ১৫। এদিকে ফের একবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সমালোচনার তিরে বিদ্ধ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। রাজ্যের প্রকৃত করোনা পরিস্থিতি প্রকাশ্যে আসতে দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সরাসরি এবার এই অভিযোগ করলেন রাজ্যপাল। পশ্চিমবঙ্গের করোনা আক্রান্তের প্রকৃত পরিসংখ্যান প্রকাশ করুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, টুইটে লিখলেন একথাও। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় শনিবার টুইট করেন,"@MamataOfficial রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির তথ্য লুকিয়ে রাখবেন না, দয়া করে প্রকৃত তথ্য সামনে আনুন।" তিনি এই বিষয়টিও উল্লেখ করেন যে, ৩০ এপ্রিলের পর আর নতুন করে কোনও মেডিকেল বুলেটিনই প্রকাশ করেনি রাজ্য সরকার। ওই বুলেটিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেখানো হয়েছিল ৫৭২, তারপর আর সেই পরিসংখ্যানে কোনও আপডেট করা হয়নি।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁঁছলো ৩৭,৩৩৬ জনে, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২,২৯৩ জন
পাশাপাশি রাজ্যপাল এই কথাও বলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন "তিনি নিজেই রাজ্যের সমার্থক"। গোটা বিশ্বের মতো এই দেশ তথা রাজ্যও যখন করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মহামারীর সঙ্গে যুঝছে, ঠিক সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীকে রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানালেন রাজ্যপাল। সংবাদসংস্থা এএনআইকে জগদীপ ধনখড় বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকেই একটি রাজ্য বলে ভাবেন I তিনি মনে করেন একটি দেশের মধ্যে থেকে কোনও রাজ্য নয়, আসলে একটি দেশ চালাচ্ছেন তিনি।
অপরদিকে, রাজ্যে ঠিক কতজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন তা নিয়ে নাকি সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আনছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, বারবার এমনই অভিযোগ করছে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। একটি সূত্র জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গড়া বিশেষ ডেথ অডিট কমিটির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এর ফলে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে আপাতত ওই ডেথ অডিট কমিটিকে তাদের পরিসংখ্যান নিয়ে ফের বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
"করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজনীতি করবেন না", মুখ্যমন্ত্রীকে ফের বিঁধলেন রাজ্যপাল
অভিযোগ উঠছে এটাই যে রাজ্যের গড়া ওই কমিটি করোনা রোগীদের মৃত্যুর বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার সময় মৃত রোগীদের দুই ভাগে বিভক্ত করছে। একটি ভাগ হল যাঁদের করোনা সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছে। আর অন্য ভাগটি হল, যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হলেও তাঁদের দেহে অন্য জটিল রোগ থাকায় পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় ভাগের মৃতদের সরাসরি করোনার জেরে মৃত হিসাবে দেখানো হচ্ছে না।