This Article is From Mar 21, 2020

জেলে করোনা সংক্রমণ রুখতে এবার তৎপর রাজ্য কারা দফতর! দেওয়া হবে শর্তাধীন প্যারল

এবার জেলবন্দিদের প্রতি মানবিক হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

জেলে করোনা সংক্রমণ রুখতে এবার তৎপর রাজ্য কারা দফতর! দেওয়া হবে শর্তাধীন প্যারল

করোনা সংক্রমণ রোধে আগামী ১৪ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ।

কলকাতা:

করোনা সংক্রমণ (Covid-19) রোধে আগামী ১৪ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমন দাবি করছে হু থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই পরিস্থিতিতে আম আদমিকে সুরাহা দিতে একাধিক পন্থা নিয়েছে কেন্দ্র-সহ রাজ্য প্রশাসনগুলি। লাগু হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। এবার জেলবন্দিদের (Tackling Corona in Jails) প্রতি মানবিক হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Bengal Government)। রাজ্যের বিভিন্ন জেলে বন্দিদের মধ্যে যাতে এই সংক্রমণ না ছড়ায়, সেটা নিশ্চিত করতে তৎপর কারা দফতর। জানা গিয়েছে, একাধিক বিধিনিষেধ যেমন আরোপ করা হয়েছে, তেমন খোলা রাখা হয়েছে প্যারল (Parole) আবেদনের পরিসর। কারা দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোনও বন্দির সঙ্গে পরিবার দেখা করতে পারবে না। সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনে বন্দিরা ১৫ দিনের জন্য প্যারলের আবেদন করতে পারবেন। তবে সেটা হবে শর্তাধীন। ১০ বছর কারাবন্দি অথচ ব্যবহার ভাল এমন বন্দিরা আবেদন করতে পারবেন। সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলে প্রায় ২৫ হাজার বন্দি; তাঁদের মধ্যে ৫০০ জনের প্যারল আবেদন গ্রহণ হবে। পাশাপাশি জেল চত্বর ও ভিতরকে সংক্রমণ-প্রতিরোধী করতে নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ পদক্ষেপ। সেই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত করতে কারাবন্দিদের এগিয়ে আসতে অনুরোধ করা হবে। 

Coronavirus: ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মুম্বইয়ের সমস্ত অফিস

স্বাস্থ্য মন্ত্রক জনতার উদ্দেশে আর্জি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  রবিবার ‘জনতা কার্ফু'-র যে আহ্বান জানিয়েছেন তা পালন করার জন্য। জানিয়েছে, একদিনের এই সহযোগিতা সংক্রমণের শৃঙ্খলাভঙ্গ করতে সাহায্য করবে। এদিন মন্ত্রকের সচিব লব আগরওয়াল সকলের কাছে আর্জি জানান, প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে এই গণ আন্দোলনে সাড়া দিতে।

বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় রবিবার ২২ মার্চ করোনা সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব তৈরি করার এক প্রয়াস হিসেবে ‘জনতা কার্ফু' পালন করার জন্য আহ্বান জানান।

করোনা প্রতিরোধে কেন্দ্রের কাছ থেকে যথেষ্ট সাহায্য পাচ্ছি না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তিনি বলেন, ‘‘জনতা কার্ফুতে কেউ তাঁদের বাড়ি থেকে বেরোবেন না কিংবা প্রতিবেশীদের কাছে যাবেন না। কেবল যাঁরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত তাঁরা বেরোবেন।''

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই একদিনের প্রয়াস মানুষকে স্বেচ্ছা-বন্দিত্বের অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন সংযম ও সংকল্প মেনে আগামী কয়েক সপ্তাহ খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বাড়ি থেকে না বেরোন।

এখনও পর্যন্ত দেশে ২০০-র বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। মৃত চারজন। 

.