ফের একদিনে সর্বাধিক সংক্রমণ পরিলক্ষিত হল তামিলনাড়ুতে. (প্রতীকী)
চেন্নাই/ নয়াদিল্লি: ফের একদিনে সর্বাধিক সংক্রমণ পরিলক্ষিত হল তামিলনাড়ুতে (Tamilnadu)। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৫২৭ আর মৃত এক। এই সংক্রমণ ধরে রাজ্যে মোট সংক্রমিত ৩৫৫০ জন। মোট মৃত ৩১ আর সুস্থ হয়েছেন ১৪০৯ জন। এদিকে, করোনাভাইরাসকে (Coronavirus) রুখে দিতে যে সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্প ও ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার তার ওপর সরাসরি নজর রাখতে দিল্লি সমেত এমন আরও কুড়িটি জেলা যেখানে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেশি সেখানে জনস্বাস্থ্য টিম মোতায়েন করছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক অনুসারে এই দলকে ২০ টি জেলা, মহারাষ্ট্রের মুম্বই, থানে এবং পুনে, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল এবং ইন্দোর, গুজরাটের আমেদাবাদ ,সুরাত এবং ভদোদরা, দিল্লিতে দক্ষিণ-পূর্ব এবং মধ্য জেলা, রাজস্থানের যোধপুর এবং জয়পুর, উত্তরপ্রদেশের আগ্রা এবং লখনউ, তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ,তামিলনাড়ুর চেন্নাই, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্ণুল এবং কৃষ্ণা জেলায় মোতায়েন করা হবে।
রয়েছে সরকারের ছাড়, তবুও রাজ্যের গ্রিন জোনে নামল না বাস
২ মে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,এই দলে রাষ্ট্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, AIIMS, JIPMER এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথের বিশেষজ্ঞরা থাকছেন। এরা সবাই পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এলাকায় কীভাবে পরিস্থিতির উন্নতি করা যায় তা সম্পর্কে পরামর্শ সম্বলিত রিপোর্ট অতিরিক্ত মুখ্য সচিব বা সচিব বা স্বাস্থ্য সচিবের কাছে পাঠাবেন।অপরদিকে, করোনা ভাইরাসকে রুখতে দেশব্যাপী যে লকডাউন জারি করা হয় তার মেয়াদ আজ অর্থাৎ ৪ মে থেকে আরও দুই সপ্তাহের জন্যে বাড়ানো হয়েছে। রেল, বিমান, সড়ক পরিবহণ সহ সমস্ত ধরণের পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছে। এই মহামারীর সঙ্গে যুঝতে যে এলাকাগুলোতে সংক্রমণের ঝুঁকি কম বা একেবারে নেই বললেই চলে সেখানে লকডাউনের বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইছে রাজধানী দিল্লিও।
রাজ্যে কোনও লাল জেলা নেই, জানাল রাজ্য সরকার
সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রবিবার সাংবাদিকদের বলেন যে সেখানকার বিভিন্ন পরিষেবা ধীরে ধীরে ফের চালু করা হচ্ছে। তবে মানুষকে "করোন ভাইরাসকে পাশে নিয়েই এখন বাঁচার জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে", একথাও বলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী । কয়েকটি রাজ্যে মদের দোকান খোলায় অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বর্ধিত লকডাউনের মধ্যে যে দোকানগুলোই খোলা হোক না কেন, সব জায়গাতেই কঠোর সামাজিক দূরত্ব এবং অন্যান্য সমস্ত সুরক্ষা নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। গ্রিন জোন বা কোনও COVID-19 মামলা নেই এমন অঞ্চলে, একজন যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালানো যেতে পারে, তবে তার সময়সীমা সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত। চলতে পারে দু'চাকার গাড়িও, কিন্তু তাতেও একজনই সওয়ারি থাকতে পারেন। কেবলমাত্র জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাগুলি পৌঁছে দিতে যে যানবাহন চলবে সেগুলির ক্ষেত্রে বেশ কিছু ছাড় দেওয়া হবে।