This Article is From May 11, 2020

করোনা নিয়ে বঙ্গ বিজেপির "অপপ্রচার"! পাল্টা প্রচারে কোমর বাঁধছে টিএমসি

রবিবার বিজেপি-বিরোধিতার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করতে বৈঠক করেন প্রশান্ত কিশোর আর তৃণমূল কংগ্রেসের বাছাই করা কয়েকজন বিধায়ক

করোনা নিয়ে বঙ্গ বিজেপির

রবিবার পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশে ৩৬১৪ জন সংক্রমিত ছিল। গুজরাতে সংখ্যাটা ৮,১৯৫। (ফাইল)

কলকাতা:

করোনা(Coronavirus Pandemic) নিয়ে বিজেপির আক্রমণের জবাব দিতে কৌশল নিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশের কয়েকটি ভিডিও সোশাল মাধ্যমে পোস্টে করে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যার্থতার অভিযোগ তুলে সরব তারা। রবিবার বিজেপি-বিরোধিতার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করতে বৈঠক করেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore) আর তৃণমূল কংগ্রেসের বাছাই করা কয়েকজন বিধায়ক। সেই বৈঠকে স্থির হয়েছে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যে ক্রমাগত মিথ্যা প্রচার করে চলেছে বিজেপি, তার বিরোধিতা করতে সোশাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করা হবে। দলীয় সূত্রে এমনটাই খবর। জানা গিয়েছে, দেশের প্রথম পাঁচ সংক্রমিত রাজ্যের মধ্যে আছে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ। কেন এই রাজ্যে সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যার্থ বিজেপি পরিচালিত সরকার? সেই সংক্রান্ত নথি, ভিডিও আর পরিসংখ্যান তুলে ধরা হবে সোশাল মাধ্যমে। 

রবিবার পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশে ৩৬১৪ জন সংক্রমিত ছিল। গুজরাতে সংখ্যাটা ৮,১৯৫। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা ভাইরাসের সামগ্রিক সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করতে পঞ্চমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মনে করা হচ্ছে, আগামী ১৭ মে-র পর দেশের সর্বস্তরে জারি থাকা লকডাউন তুলে দেওয়ার পথে হাঁটতে পারে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, করোনার অজুহাত দেখিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। মমতার দাবি, কেন্দ্র সব সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়ে নেয় আগে থেকে। তিনি জানান, ‘‘আমাদের তো জিজ্ঞাসাও করা হয় না।'' কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈষম্যের রাজনীতির করার অভিযোগও এনেছেন তিনি।

করোনা ভাইরাস ক্রমেই যেন আরও জাঁকিয়ে বসছে দেশে। এখনও পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান সোমবারই দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। অথচ সংক্রমণ যাতে কম ছড়ায় তার জন্যেই ২৫ মার্চ থেকে টানা লকডাউনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ।

সরকারি পরিসংখ্যান মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন শিকার হয়েছেন ৪,২০০ জন রোগী এবং মারা গেছেন ৯৭ জন। এর আগে, একদিনে একসঙ্গে এতজন কোভিড- ১৯ এর কবলে পড়েননি।

এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে কোভিড- ১৯ রোগের কবলে পড়েছেন মোট ৬৭,১০০ জন, ওই রোগের সঙ্গে যুঝতে না পেরে মারা গেছে মোট ২,২০৬ জন। তবে দেশে করোনা আক্রান্ত যেমন বাড়ছে তেমনই বাড়ছে ওই রোগ থেকে পুনরুদ্ধারের হারও। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, যেখানে গত রবিবার দেশে সেরে ওঠা রোগী ছিল ২৬.৫৯ শতাংশ, সেখানে তা এখন বেড়ে হয়েছে ৩১.১৪ শতাংশ।

এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন রবিবার জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ১০ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোনও নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি, যা অনেকটাই স্বস্তির।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.