গত ৩৬ ঘণ্টায় মৃত্যুর কোনও খবর নেই। ফলে এই রাজ্যে সংক্রমণের জেরে মৃত সেই ৫ জন।
হাইলাইটস
- রাজ্যে নতুন করে ১২ জনের দেহে সংক্রমণ। শুক্রবার জানালেন মুখ্যসচিব
- রাজ্যে মোট সংক্রমিত ৮৯। এদিন জানিয়েছেন তিনি
- তবে মৃতের সংখ্যা বাড়েনি। এই সংক্রমণে মৃত ৫ জন
কলকাতা: রাজ্যে ১২ জনের দেহে নতুন করে সংক্রমণ (Coronavirus Bengal) মিলেছে। শুক্রবার এই তথ্য দিলেন মুখ্যসচিব (Chief Secretary) রাজীব সিনহা। এই ১২ জনকে ধরে রাজ্যে মোট সংক্রমিত ৮৯। পাশাপাশি ৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এই দাবিও এদিন নবান্নে করেন মুখ্যসচিব। তবে গত ৩৬ ঘণ্টায় মৃত্যুর কোনও খবর নেই। ফলে এই রাজ্যে সংক্রমণের জেরে মৃত সেই ৫ জন, শুক্রবার সাংবাদিকদের উদ্দেশে জানান মুখ্যসচিব। এদিকে, শুক্রবার ‘বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন'-এর তরফে জানানো হয়, তারা লকডাউনের (Lockdown) সময় আপৎকালীন পরিষেবা দিতে প্রস্তুত। বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন পরিষেবার কথা বলেন। এরপরই শুক্রবার ‘দ্য বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন'-এর তরফে একথা জানানো হল। প্রসঙ্গত, রাজ্যের অধিকাংশ ট্যাক্সিই এই সংগঠনের অধীনে রয়েছে। এদিন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিমল গুহ বলেন, যদি সরকারের তরফে কোনও অর্ডার পাওয়া যায়, তাহলে তাঁদের বিশেষ
সুবিধা হয়।
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তরেখায় গুলি পাকিস্তানের, ভিডিও প্রকাশ ভারতের
এদিন তিনি বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার ‘পাবলিক ভেহিকলস ডিপার্টমেন্ট' তথা পিভিডি-র তরফে আমার কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ জংশনে পাঁচটি করে ট্যাক্সি প্রস্তুত করে রাখতে, যাতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে মানুষ তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন।'' গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯৬ জন। মৃত ৩৭। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একথা জানানো হয়েছে। একদিনে দেশে এতজনের আক্রান্ত হওয়া কিংবা মারা যাওয়ার ক্ষেত্রে এটি সর্বাধিক বলে মন্ত্রক জানিয়েছে। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬,৭৬১। অন্তত ২০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে সংক্রমণের ফলে। এদিনই ওড়িশার পরে দেশের দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর কথা জানিয়ে দিয়েছে পঞ্জাব। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
লকডাউনের সময় গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ জানাতে নয়া নম্বর চালু জাতীয় মহিলা কমিশনের
এরই মধ্যে অন্তত পঞ্জাব ও ওড়িশা জানিয়ে দিয়েছে, তারা লকডাউন সম্প্রসারিত করছে। এদিকে শুক্রবার নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু'। ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সংক্রান্ত পরিস্থিতির যে রিপোর্ট তারা প্রকাশ করেছিল তাতে দেখানো হয়েছিল ভারত এই মুহূর্তে গোষ্ঠী সংক্রমণের পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। কিন্তু এই রিপোর্টে ভুল রয়েছে বলে মেনে নিল ‘হু'। NDTV-কে তারা জানিয়েছে এই ভুলের কথা। জানিয়েছে ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি। ‘ক্লাস্টার অফ কেসেস' তথা গুচ্ছ ঘটনার কথা জানা গিয়েছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)