This Article is From Jul 17, 2020

বাড়ানো হল কলকাতা থেকে ছ'টি শহরের বিমান ওঠানামায় নিষেধাজ্ঞা

তালিকায় আছে মুম্বই, পুণে, নাগপুর, আহমেদাবাদ, দিল্লি ও চেন্নাই

বাড়ানো হল কলকাতা থেকে ছ'টি শহরের বিমান ওঠানামায় নিষেধাজ্ঞা

ফাইল ছবি।

কলকাতা:

বাড়ানো হল ছ'টি শহর থেকে কলকাতায় বিমান ওঠানামার নিষেধাজ্ঞা (Direct flights to and from Kolkata)। ৬ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই অবধি এই ছ'টি শহর থেকে কলকাতায় বিমান ওঠানামা নিষিদ্ধ করেছিল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। নবান্নের অনুরোধে এই সিদ্ধান্ত। টুইট করে জানিয়েছিল কলকাতা বিমানবন্দর। তালিকায় আছে মুম্বই, পুণে, নাগপুর, আহমেদাবাদ, দিল্লি ও চেন্নাই। এদিকে, শুক্রবার রাজ্যের কনটেইনমেন্ট (Containment zone in Bengal) জোনে আরও ৩৫টি এলাকা যুক্ত হল। এখন থেকে হটস্পট আর বাফার জোন মিলিয়ে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হচ্ছে। এই ৩৫টি এলাকা সেই বৃহদাকার কনটেইনমেন্ট জোনের অংশ। এই সংখ্যা ধরে রাজ্যে মোট কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৭৬। শুক্রবার স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তা এই তথ্য দিয়েছেন। যদিও কলকাতায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৮ থেকে কমে হয়েছে ২৪। তবে, শহরতলিতে দিন দিন বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। তাই বৃহত্তর কলকাতা এখন উদ্বেগে রেখেছে নবান্নকে। এমনটাই সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান ওই কর্তা।

কোভিড যুদ্ধে মৃত সরকারি কর্মীদের পরিবারের একজনকে চাকরি, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কলকাতায় মোট সক্রিয় সংক্রমণ ৪,৫১২। উত্তর ২৪ পরগনায় সবচেয়ে বেশি কনটেইনমেন্ট জোন। সংখ্যাটা হল ৯৫। হাওড়ায় ৮৫, পূর্ব বর্ধমানে ৭১, উত্তর দিনাজপুরে ৭০ আর নদীয়ায় ৫৪। পাশাপাশি কলকাতায় নতুন করে আটটি এলাকা কন্টেইনমেন্টের তালিকাভুক্ত হয়েছে।

রাজ্য সরকারের 'এগিয়ে বাংলা' ওয়েবসাইটে জানা গিয়েছে, কলকাতার ২৪টির মধ্যে আটটি কনটেইনমেন্ট জোন একাধিক এলাকা নিয়ে। ভবানীপুরের বকুল বাগানের দুটি বস্তি, উল্টোডাঙা মেইন রোডকে বৃহত্তর কনটেইনমেন্ট জোনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।

পাশাপাশি চারটি আবাসিক এলাকা, যেমন বালিগঞ্জ, মানিকতলা, ভবানীপুর ও কাঁকুরগাছি এই জোনের আওতাভুক্ত। এই কনটেইনমেন্ট জোনগুলোতে নতুন করে নয় জুলাই থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে, চলবে ১৯ জুলাই পর্যন্ত। অপরদিকে, রাজ্যে মোট সংক্রমিত ৩৬,১১৭। মৃত বেড়ে ১০২৩।

ভারতে ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৪,৯৫৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। পাশাপাশি একদিনের মধ্যে ৬৮৭ জন মানুষের প্রাণ কেড়েছে এই মারণ ভাইরাস। দিনের পর দিন যেন সংক্রমণ বাড়ছে। প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড গড়ছে কোভিড- ১৯। সরকারি তথ্যে দেখা যাচ্ছে, সারা দেশে করোনা ভাইরাস মহামারী রূপে দেখা দেওয়ার পর থেকে মোট ২৫,৬০২ জন মানুষের করোনায় ভুগে মৃত্যু হয়েছে।  

তবে চিকিৎসা সহায়তায় এখনও পর্যন্ত দেশে ৬.৩৫ লক্ষ মানুষ বা ৬৩.৩৪ শতাংশ করোনা রোগী সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন।

যেভাবে দৈনিক রেকর্ড হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তা দেখে দেশের বেশ কিছু অতি সংক্রমণপ্রবণ এলাকায় ফের কড়া লকডাউন জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের আশা, একমাত্র এইভাবেও করোনার প্রকোপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

দেশের যে রাজ্যগুলোতে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসের কবলে পড়েছেন তাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যের পরেই রয়েছে তামিলনাড়ু, দিল্লি, কর্নাটক, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা।

দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলোর মতো পাল্লা দিয়ে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেও। বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছেন, করোনা পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই অবস্থায় রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা যথাযথ রাখতে রাজ্যে পূর্ণসময়ের জন্যে এক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিয়োগ করারও দাবি তুলেছেন বিরোধীরা।

.