This Article is From Jun 20, 2020

করোনার থাবা এবার সৌরভের পরিবারে! সংক্রমিত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী

যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই চার সংক্রমিত, তাদের তরফে বলা হয়েছে, শনিবার ফের ওই চারজনের নমুনা পরীক্ষা হবে। সেই রিপোর্ট দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে

করোনার থাবা এবার সৌরভের পরিবারে! সংক্রমিত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী
কলকাতা:

করোনা সংক্রমণের থাবা (Covid-19 to Saurav's keen) এবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিবারে। জানা গিয়েছে, বিসিসিআই সভাপতির (BCCI President) দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী সংক্রমিত। শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে এমনটাই খবর। সূত্রের খবর, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের শ্বশুর ও শাশুড়ির গত সপ্তাহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এমনকী, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের মোমিনপুর আবাসনের গৃহপরিচারিকাও সংক্রমিত। গত কয়েক বছর ধরে এই আবসনেই পরিবার নিয়ে থাকছেন বিসিসিআই সভাপতির দাদা ও তাঁর পরিবার। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রত্যেকেই চিকিৎসাধীন আর স্থিতিশীল। তবে, সৌরভের দাদা সংক্রমিত নয়। সম্প্রতি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু সতর্কতা অবলম্বনে তাঁকে হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেছেন, "করোনা উপসর্গ থাকায় ওই চারজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। প্রত্যেকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তবে, ওই চার জনের কেউ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটে বেহালায় থাকতেন না। সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার পরেই ওদের চিকিৎসাধীন করা হয়েছে।"

এদিকে, যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই চার সংক্রমিত, তাদের তরফে বলা হয়েছে, শনিবার ফের ওই চারজনের নমুনা পরীক্ষা হবে। সেই রিপোর্ট দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

যতদিন যাচ্ছে ততই যেন বেড়ে যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের শক্তি। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪,৫১৬ জন। এখনও পর্যন্ত দৈনিক সংক্রমণের হিসাবে এই আক্রান্তের সংখ্যা একটা নতুন রেকর্ড। পাশাপাশি গত একদিনের মধ্যে এই মারণ রোগের কারণে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৭৫ জনের। করোনা ভাইরাস ভারতে মহামারী আকারে দেখা দেওয়ার পর মোট ১২,৯৪৮ জন মানুষের প্রাণ কেড়েছে। সারা দেশে এখনও পর্যন্ত ৩.৯৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে। শনিবার সকালে যে পরিসংখ্যান দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক তাতে দেখা যাচ্ছে, দেশে করোনার কবল থেকে পুনরুদ্ধারের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪.১২ শতাংশে। তবে যেভাবে দৈনিক হারে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে তাতে কিন্তু ক্রমশই চিন্তা বাড়ছে দেশের।

.