কলকাতা: অনলাইন ক্লাসের (Efficacy of online classes) কার্যকারিতা কতটা, পর্যালোচনায় সমীক্ষা শুরু করেছে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন (SFI)। সাধারণ পড়ুয়ারা এই ক্লাস থেকে কতটা লাভবান, সেটা জানতেই এই সমীক্ষা। এমনটাই বামপন্থী এই ছাত্র সংগঠনের দাবি। গত মার্চ থেকে বন্ধ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু পড়ুয়াদের পঠনপাঠনের অভ্যাস জারি রাখতে অনলাইন ক্লাসের পরিসর খোলা রেখেছিল কেন্দ্র সরকার। এই উদ্যোগ (Survey on Online classes) প্রসঙ্গে এসএফআইয়ের রাজ্য কমিটির নেতা শুভজিৎ সরকার বলেন, "অন্তত ৫ হাজার পড়ুয়ার মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হবে। আগামী একমাসের মধ্যে নগর ও গ্রাম ঘুরে করা হবে এই সমীক্ষা ইতিমধ্যে প্রায় ৬৫০ জন পড়ুয়ার কাছে পৌঁছেছে আমাদের সদস্য-সমর্থকরা।"
তিনি বলেন, "স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারে পড়ুয়ারা কতটা স্বচ্ছন্দ্য সেই প্রশ্ন করা হচ্ছে সমীক্ষায়।" তিনি জানান, সংগঠনের প্রশ্নাবলী ইংলিশ ও বাংলায় তৈরি। তাঁদের কি ভালো ইন্টারনেট সংযোগ? ব্রডব্যান্ড ওয়াইফাই না মোবাইল ওয়াইফাই দিয়ে ইন্টারনেট সংযোগ? নতুন এই পদ্ধতিতে তারা কতটা স্বচ্ছন্দ্য? সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এমনটা জানিয়েছেন ওই বামপন্থী ছাত্রনেতা।
এর পাশাপাশি আরও কয়েকটা প্রশ্ন এই সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়েছিল? এই লকডাউনে ক'টা অনলাইন ক্লাস তারা করেছে? ইন্টারনেট খরচ কোথা থেকে এসেছে? অভিভাবক দিয়েছে? না নিজের হাতখরচ থেকে কেনা হয়েছে? না কোনও আত্মীয়-পরিজন সেই খরচ বহন করেছন?
এদিকে, উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল উচ্চশিক্ষা দফতর। জানা গিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিকের প্রস্তাবিত ৩, ৬ আর ৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা বাতিল। শুক্রবার এই ঘোষণা করলেন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ফলপ্রকাশের ভার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ওপর ছাড়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মেনে সেই পরিকল্পনা নেওয়া হবে। এদিন জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, "এই মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ থাকলে, পরে সুবিধামতো সেই পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে। এই বিকল্পও আমরা খুশি রাখছি। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রেজাল্ট প্রকাশ করার চেষ্টা করা হবে। আমাদের কাছে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা প্রাধান্য।"