এদিকে করোনা আক্রান্তের বিচারে মহারাষ্ট্রের পরেই এখন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি (ফাইল ছবি)।
কলকাতা: করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বুধবার সর্বদল বৈঠক ডাকল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, প্রতি দলের দু'জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতে পারবেন নবান্নে। বিধানসভায় সদস্য আছে, এমন দলগুলোকে নিয়ে এই বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার দুপুরে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সোমবার জানান রাজ্যের এক প্রবীণ মন্ত্রী। এর আগে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে একই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সূত্রের খবর, রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতি (Covid-19 in Bengal), আনলক ভবিষ্যত ও লকডাউন মেয়াদ নিয়ে আলোচনা হবে। একাধিক রাজনৈতিক দল রাজ্যের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতিতে প্রসঙ্গে আলোচনা চেয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকার দাবি জানিয়েছিল। সেই দাবি মেনেই এই সিদ্ধান্ত।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, করোনা সংক্রমণের জেরে রাজ্যে রবিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫৫৫। সংক্রমিত ১৩,৫৩১। ইতিমধ্যে নমুনা পরীক্ষা, সংক্রমণে মৃতদের পরিসংখ্যান লুকনো ও ত্রাণের সামগ্রী বিলির মতো একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছে বিরোধী দলগুলো।
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেখতে দেখতে ৪.২৫ লক্ষকেও ছাড়িয়ে গেল। দেশে নতুন করে এই রোগ থেকে সংক্রমণের হারও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৪৪৫ জনের প্রাণ কেড়েছে এই মারণ ভাইরাস। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, দেশে এখন মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪,২৫,২৮২ হয়েছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩,৬৯৯ এ। একদিনের মধ্যে ভারতে নতুন করে ১৪,৮২১ জনের শরীরে বাসা বেঁধেছে কোভিড- ১৯ ভাইরাস। তবে আক্রান্তের পাশাপাশি করোনা থেকে পুনরুদ্ধারের হারও বেড়েছে। বর্তমানে ৫৫.৭৭ শতাংশ রোগী করোনা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সব মিলিয়ে দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ২,৩৭,১৯৬ জন।
এদিকে করোনা আক্রান্তের বিচারে মহারাষ্ট্রের পরেই এখন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। গত কয়েকদিনে যে হারে সেখানে সংক্রমণ বেড়েছে তাতে তামিলনাড়ুকে পেছনে ফেলে দিয়েছে রাজ্যটি। করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত প্রথম ১০ টি দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)