এই মেশিনের সাহায্য সংক্রমণ পর্যবেক্ষণ ও চিহ্নিত করা আরও সহজ হবে (প্রতীকি ছবি)
কলকাতা: সংক্রমণ (Corona) চিহ্নিত করতে এবার রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর (State univesities) দ্বারস্থ হল সরকার। রাজ্যের ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরটি-পিসিআর (RT-PCR Test) মেশিন ভাড়া করবে স্বাস্থ্য দফতর। এই মেশিনের সাহায্য সংক্রমণ পর্যবেক্ষণ ও চিহ্নিত করা আরও সহজ হবে। এমনটাই বৃহস্পতিবার জানিয়েছে সরকারি একটি সূত্র। চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন,"আরটি-পিসিআর মেশিনের পারমাণবিক চেন প্রতিক্রিয়া দিয়ে ভাইরাস-সহ যে কোনও অণুজীবের জিনসজ্জা চিহ্নিত করা সহজ। পলিমার চেন রিঅ্যাকশনের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে এই জিনসজ্জা। এই পরীক্ষার দ্বারা অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে রিপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন গবেষকরা। রাজ্যের সংক্রমণ প্রতিরোধে তৈরি টাস্ক ফোর্সের প্রধান এই চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী।
"পরিযায়ী নাগরিকদের ফেরানোর জন্য বাস পরিষেবা অবাস্তব", কেন্দ্রকে জানাল রাজ্যগুলি
তিনি বলেছেন, "কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আর বর্ধমান বিস্ববিদ্যালয়কে আবেদন করা হয়েছে। তারা যাতে সেই মেশিন স্বাস্থ্য দফতরকে ভাড়ায় দেয়। তাদের থেকে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। কয়েকটি বাছাই করা কেন্দ্রের গবেষণাগারে এই মেশিন ব্যবহার করা হবে।" তিনি আরও বলেছেন, "এত অল্প সময়ের মধ্যে রাজ্যের পক্ষে সেই মেশিন আমদাম্নিও করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি ব্যয় হবে বিপুল। তাই খরচ কমাতে ভাড়া নেওয়া হবে এই মেশিন।" এই মর্মে রাজ্যের আবেদন পেয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
একলাফে রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৩, আক্রান্ত ৫৭২
এদিন জানান সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধায়পক সুরঞ্জন দাশ। তিনি জানিয়েছেন, এই সঙ্কটের মুহূর্তে রাজ্যকে সব ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি বলেন, "আমি বুধবার সরকারের থেকে চিঠি পেয়েছি। ফোনেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা রাজ্যের হাতে সেই মেশিন তুলে দিতে উদ্যোগ নিয়েছি।" এদিকে, ভারতে করোনা আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার বা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার হার বেড়ে হয়েছে ২৫.১৩ শতাংশ, ১৪ দিন আগের ১৩ শতাংশের তুলনায় এই হার ভাল উন্নতি বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মোট ৮,৩২৪ জনকে সুস্থ করে তোলা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায়, ১,৭১৮ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে।
ফলে এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩,০৫০ জন, তারমধ্যে রয়েছে ১,০৭৪ জনের মৃত্যু। সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে, লকডাউনের আগে যেখানে করোনায় আক্রান্ত দ্বিগুণ হওয়ার হার ছিল ৩.৪ দিন, সেখানে তা হয়েছে ১১ দিন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)