কলকাতা: বাংলায় একদিনে রেকর্ড সংক্রমণ (Covid-19 IN Bengal)। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ১৩৪৪ জন। এই সংক্রমণ (Single day spikes) ধরে রাজ্যে মোট সংক্রমিত ২৮,৪৫৩ জন। সক্রিয় সংক্রমণ ৯৫৮৮। একদিনে মৃত ২৬, মোট মৃত ৯০৬। জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১,৪০৩ জনের। এযাবৎকাল মোট ৬,০৫,৩৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এমনটাই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান। এদিকে, জেলাভিত্তিক হিসেব কলকাতায় একদিনে সংক্রমিত ৪১২ জন। দুই ২৪ পরগনা মিলিয়ে ৪৭৬ জন। হাওড়ায় ১৩০ জন আর দার্জিলিংয়ে ৭২ জন সংক্রমিত। পশ্চিমবঙ্গেও ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছে করোনা ভাইরাস। শুক্রবারও এরাজ্যে (West Bengal) আরও ১,১৯৮ জন নতুন করে ওই রোগে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছিলেন। যা এখনও পর্যন্ত বাংলায় দৈনিক সংক্রমণের হিসাবে সর্বোচ্চ ছিল। কিন্তু শনিবার সেই রেকর্ড ছাপিয়ে গেল। পরিস্থিতি বিবেচনা করে কনটেইনমেন্ট জোনগুলোতে কড়া লকডাউন জারি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
বৃহস্পতিবার থেকেই কনটেইনমেন্ট জোনগুলোতে বসবাসকারী মানুষজন ঘরবন্দি, বন্ধ রয়েছে এলাকার দোকানপাটও। রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলায় মোট করোনা আক্রান্ত ২৭,১০৯ জন। এদিকে একদিনের মধ্যেই আরও ২৬ জন করোনা রোগীর মৃত্যুর ফলে রাজ্যে এই রোগে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮০ জনে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্যে মোট ৪৬৩ টি এলাকাকে কনটেইমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকেই রাজ্যের ২৩ টি জেলার মধ্যে ২০ টি জেলায় ছড়িয়ে থাকা কনটেইনমেন্ট জোনগুলি পুরোপুরি লকডাউনের আওতায় চলে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আপাতত ৭ দিনের জন্যে ওই এলাকাগুলোতে কড়া বিধিনিষেধ জারি থাকবে, পরে পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কনটেইনমেন্ট জোনগুলোতে যাতে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করা যায় তাই এলাকাগুলোকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। চলছে পুলিশি টহলদারী। একমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়িগুলোই চলাচল করতে পারছে সেখানে। তবে কিছু অঞ্চলে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটার জন্যে দিনে ৪ ঘণ্টা দোকান-বাজার খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে মুদি দোকান সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানগুলোতে দীর্ঘ লাইনে মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, দুই ২৪ পরগনার ১৪৭টি, কলকাতায় ২৫টি আর হাওড়ায় ৫৬টি কনটেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। কনটেইনমেন্ট জোন আর বাফার জোনকে একত্রিত করে একটা বড় অংশ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই এলাকায় চলছে শাটডাউন।