কলকাতা: দেশে ক্রমে বাড়ছে সংক্রমণের (Covid-19 in Bengal) হার। চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হতে হাতে পড়ে আর মাত্র কয়েকটা দিন। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাংলায় ঢোকা পরিযায়ী ট্রেন উদ্বেগ বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর, আগামী কয়েকদিনে ধাপে ধাপে প্রায় ২২৫টি ট্রেন রাজ্যে ঢুকবে। যাদের মধ্যে সংক্রমণের তালিকায় ফার্স্টবয় মহারাষ্ট্র থেকে আসবে ৪১টি ট্রেন। ইতিমধ্যে রাজ্যে ঢুকেছে ১৯টি ট্রেন। ৩১ মে'র মধ্যে আরও প্রায় ১২০০ নাগরিকের বাংলায় ঢোকার কথা। ২৬ মে প্রায় এক ডজন ট্রেন রাজ্যের উদ্দেশে ছেড়েছে। দক্ষিণবঙ্গমুখী ট্রেনগুলোকে দাঁড় করানো হচ্ছে ডানকুনিতে। এই বিষয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "যতদুর আমি জানি সব নাগরিককে ১৪দিনের জন্য আবশ্যিক হোম কোয়ারান্টাইনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন সেই নাগরিকদের বাড়ি গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করছেন।"
পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার চিত্র, স্টেশনেই মরে পড়ে আছে মা, অবুঝ শিশু চেষ্টা করছে জাগাতে!
এই সংক্রান্ত কী প্রোটোকল মেনে রাজ্য কাজ করছে, সেটাও সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন তিনি। জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতেও ঢুকছে ট্রেন। ফলে প্রশাসনের কাছে বড় প্রতিবন্ধকতা, প্রত্যেককে নিরাপদে বাড়িতে ফেরানো।
এদিকে, ঘরোয়া বিমান নামা এবং পরিযায়ী ট্রেন ঢোকা প্রসঙ্গে রাজ্যে-কেন্দ্র চাপানউতোর তুঙ্গে। ২৮ মে'র আগে কলকাতা বিমানবন্দরে ঘরোয়া বিমান নামার অনুমতি দেয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমন বিতর্ক উসকে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র থেকে পরিযায়ীদের স্বরাজ্যে ফেরাতে পর্যাপ্ত ট্রেনের ব্যবস্থা করেনি রেল মন্ত্রক। এমন অভিযোগ করেছে উদ্ধব ঠাকরে সরকার। যদিও, রাজ্য বিজেপির দাবি, "এভাবে পরিযায়ীদের ঝেড়ে ফেলতে পারে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এখন রাজ্যের উচিত পরিযায়ীদের সঙ্গে মানবিক ব্যবহার করা। কিন্তু উলটে দায় ঝাড়তে চাইছে নবান্ন।"
অপরদিকে, ভিনরাজ্যে থেকে বাংলায় আবাসিকদের প্রবেশের পর থেকেই উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে সংক্রমণ। উত্তর ও মধ্য বঙ্গে সংক্রমণ পরিলক্ষিত হয়েছে। এমনটাই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।