This Article is From May 17, 2020

রাজ্যে মোট সংক্রমিত ১৪৮০ জন, সুস্থ হয়েছেন ৯৫৯ জন, মৃত বেড়ে ১৬৬

জানা গিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যে সংক্রমিত ২১৬ জন। মৃত ১৩ জন। কো-মর্বিডিটিতে মোট মৃত ৭২ জন

রাজ্যে মোট সংক্রমিত ১৪৮০ জন, সুস্থ হয়েছেন ৯৫৯ জন, মৃত বেড়ে ১৬৬

গত দু'দিনে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। (প্রতীকী চিত্র)

কলকাতা:

রাজ্যে করোনা সংক্রমণ (COVID-19) বেড়ে দাঁড়াল ১৪৮০। মোট মৃত ১৬৬, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৫৯ জন। নবান্ন সূত্রে রবিবার এমন পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যে (West Bengal) সংক্রমিত ২১৬ জন। মৃত ১৩ জন। কো-মর্বিডিটিতে মোট মৃত ৭২ জন। গত দু'দিনে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ৮৬ হাজার জনের মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এমনটাই জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে। এদিকে, রাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলায় এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্কটকে সামলাতে ‘শোচনীয় ব্যর্থ' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এর মূল্য আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দারুণ ভাবে চোকাতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে। শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এভাবেই আক্রমণ করলেন রাজ্যের শাসক দলকে। পাশাপাশি কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেন তিনি। করোনা ভাইরাস লকডাউনের পরিকল্পনা ‌ঠিক ভাবে করা হয়নি— কংগ্রেসের এহেন অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, কংগ্রেস এখন ‘রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া' হয়ে গিয়েছে এবং তারা এখন তৃণমূল কংগ্রেসের মতো ‘দুর্নীতিগ্রস্ত আঞ্চলিক দল'-এর মুখাপেক্ষী।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে শ্রমিক আইনের পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে বলেন, এই পরিবর্তন করা হয়েছে ‘‘শ্রমিক স্বার্থ ভারতে কতটা জরুরি যদি চিনের মতো নির্মাণ ক্ষেত্রের দৈত্য হতে হয়'' সেকথা মাথায় রেখে। কৈলাস বলেন, ‘‘সঙ্কটের সময়ে রাজনীতি করায় আমরা বিশ্বাসী নই। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় এই সঙ্কটের মোকাবিলায় যা করছেন তা নিন্দনীয়।''

তিনি আরও বলেন, ‘‘ওঁরা রোগীদের চিকিৎসার থেকে অনেক বেশি আগ্রহী সংখ্যা লুকোতে। এখন যখন মিথ্যেটা প্রকাশ্যে এসে গেছে, উনি আমলাদের সরিয়ে দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ওঁর পদত্যাগ করা উচিত।'' কৈলাসের অভিযোগ, আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ রেখে ‘সস্তা রাজনীতি' করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেন্দ্রকে আক্রমণ করেও আগামী বছর তিনি তাঁর নৌকোকে বাঁচাতে পারবেন না। তাঁর দাবি, ‘‘প্রশান্ত কিশোর বা আরও অন্য কাউকে তিনি ভাড়া করে আনলেও তাঁরা ওঁর সরকারকে রক্ষা করতে পারবেন না।''

তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসকে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলায় এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্কটকে সামলাতে শোচনীয় ব্যর্থতার জন্য ভারী মূল্য চোকাতে হবে।''

.